বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নারী এ বার পা রাখতে চলেছে চাঁদে। চাঁদের পিঠে দুই মহাকাশচারীকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব-আমিরাত। তাদের মধ্যে এক জন নারী। এই প্রথম কোনো আরব নারী যাচ্ছেন চাঁদে।
মহাকাশ গবেষণা একসময় আমেরিকা এবং রাশিয়ার একচেটিয় আধিপত্য ছিল। সেখানে পরে ভাগ বসিয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ, সম্প্রতি প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে চীন। ভারতও এই কাজে পিছিয়ে নেই। কিন্তু আরবের দেশগুলো বরাবর এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি।
কিন্তু এবার বড় পদক্ষেপ নিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে তারা। আরও বড় খবর হলো যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে যে দুই জনের চাঁদের মাটিতে হাঁটার সৌভাগ্য হতে চলেছে, তাদের একজন নারী। এই প্রথম কোনো নারীকে চাঁদের বুকে হাঁটানোর পথে এগোচ্ছে আরব দুনিয়ার কোনো দেশ। মহাকাশেও এর আগে যাননি আরব দুনিয়ার কোনো নারী। কট্টরপন্থী সুন্নিপ্রধান মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘একবিংশ শতাব্দীর একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ’। যুগান্তকারীও।
আরবের দেশগুলোতে নারীদের ওপর এখনও অনেক রকমের বিধিনিষেধ রয়েছে। গাড়ি চালাতে না দেওয়া, স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে না দেওয়ার মতো নানান ফতোয়া রয়েছে মেয়েদের ওপর। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যে দুই জনকে চাঁদে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করেছে, তাদের একজন ৩২ বছর বয়সি মোহম্মদ আলমুল্লা। অন্যজন ২৮ বছরের আমিরাতি নাগরিক নোরা আল-মাতরুশির। ’জনকেই দু’বছরের প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠানো হবে আর কয়েক দিনের মধ্যেই।
নোরা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষে বর্তমানে আবু ধাবির জাতীয় পেট্রোলিয়াম নির্মান কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। তিনিই প্রথম নারী হিসেবে আমিরাত থেকে যাবেন মহাকাশে।
জানা গেছে, দুবাই পুলিশের হেলিকপ্টার চালানোর ভালো অভিজ্ঞতা আছে আলমুল্লার। এদিকে, চাঁদে যাওয়ার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন নোরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলের পথিকৃৎ হয়ে উঠতে পারেন নোরা।