বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মহামারি করোনা ভাইরাস কারনে দীর্ঘ প্রায় চার মাস পর (১ সেপ্টেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে সুন্দরবন। ফলে পর্যটকদের নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ট্যুর অপারেটররা। তবে পর্যটক বুকিংসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অধিকাংশ অপারেটর সুন্দরবন যেতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, খুলনার সভাপতি মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার জানান, পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে অধিকাংশ ট্যুর অপারেটর প্রথম দিনে সুন্দরবনে যেতে পারবেন না। কারণ ট্যুর অপারেটররা জানতেন না যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেক অপারেটর তাদের বুকিং ফিরিয়ে দিয়েছেন। স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়লে তাদের লোকসান হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম কচি জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ। কখন সুন্দরবন উন্মুক্ত করা হবে তা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তায় ছিলাম। ভ্রমণপিপাসুরা অগ্রিম যোগাযোগ করছে। বন বিভাগের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ইতিপূর্বে অগ্রিম বুকিং ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে বন বিভাগের সিদ্ধান্তের পর আগামী শুক্রবার সুন্দরবনের করমজলের জন্য একটি বুকিং পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা। এছাড়া ক্রমাগত বুকিং আসছে বলেও জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আযম জানান, দীর্ঘদিন চার মাস বন্ধ থাকায় অনেক পর্যটক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কোনো পর্যটক নেই। যা আসছে তা নিয়ে বনের উদ্দেশে গেলে চালান থাকবে না। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত হচ্ছে। কোনো লঞ্চে ৭৫ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। উপযুক্ত স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। উল্লিখিত নীতিমালা অমান্য করে কোনো ট্যুর অপারেটর অধিক পর্যটক বহন বা পরিবেশ বিঘ্নিত করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।