শীতকালে গুড়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে বহুগুণে। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প বলা হয় গুড়কে। নানান রকম পিঠা, পুলির স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি গুড় শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গুড়ের ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সরাসরি গুড় খাওয়ার চেয়ে যদি অন্যভাবে খাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে হয়তো বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে।
নিজেকে সুস্থ রাখতে অনেকেই গুড় খেতে পারেন। তবে বাজারে ভেজাল গুড়ের সমারোহে অনেকেই ভালো গুড় কিনতে পারেন না। তাই আসল গুড় চেনার কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
চিনবেন যেভাবে :
গুড় কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে নিয়ে চেখে দেখতে পারেন। নোনতা স্বাদের হলে বুঝবেন গুড়ে ভেজাল রয়েছে।
বাজারে গুড় কিনতে গেলে গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন ভালোমানের আর ধার বেশি শক্ত হলে না কেনাই ভালো।
গুড়ের রং সাধারণত গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের গুড় হলে তা কেনাই ভালো। কারণ, হলদেটে রঙের গুড়ে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো থাকে।
খেয়াল রাখকবেন কৃত্রিম চিনি মেশানো গুড় দেখতে খুবই চকচকে হয়।
গুড় শুধু খাবারে মিষ্টি স্বাদের জন্যই নয়, এর রয়েছে নানান রকম গুণ।
জেনে নিন গুঁড়ের উপকারিতা :
গুড়ে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন সি, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ গুড়। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে এই উপাদানগুলো শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে দরকার। আর গুড় সেই প্রয়োজন পূরণ করে।
চিনির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হলো গুড়। চায়ে গুড় মিশিয়ে খেলে সারাদিনের হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে গুড় খুব উপকারী।
গুড় কোল্ড অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে গুড়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় নয়, সুগার-ফ্রি ক্যাপসুল, স্টেইভা ব্যবহার করতে হবে।
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, এটি ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।