ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ ট্রাম্পের নতুন ‘সীমান্ত জার’ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবেন জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস

যে কারণে মুরগির পা খেতে বললো মিসর সরকার

গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে মিসরে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। অনেক মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে  সাধারণ খাদ্যপণ্য। এর মধ্যে মুরগিও রয়েছে।

দুই বছর আগে দেশটিতে এক কেজি মুরগির দাম ছিল ৩০ মিসরীয় পাউন্ড (১১৭ টাকা)। গত সোমবার এক কেজি মুরগি ৭০ মিসরীয় পাউন্ডে (২৫১ টাকা) বিক্রি হয়।

অর্থাৎ মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে মুরগির দাম এভাবে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ফলে অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।

এমন পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরে মিসরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নিউট্রিশন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিকল্প খাবারের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় মুরগির পা, এমনকি গবাদিপশুর খুরও রয়েছে। সরকারের এমন আহ্বানে ক্ষুব্ধ অনেক মিসরীয়। মুরগির পা খাদ্যের চেয়ে বর্জ্য হিসেবেই বিবেচনা করেন তারা।

দেশটির গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আল-হাশিমি নিজের চার লাখ অনুসারীর উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করেছি। এতে করে মিসরীয় পাউন্ডের যে অবস্থা খারাপ আর দেশ যে দিন দিন ঋণের দায়ে ডুবে যাচ্ছে, তা ফুটে উঠেছে। ’

মুরগির পা খেতে বলার পর আরেক বিপত্তিও দেখা দিয়েছে। এখন এক কেজি মুরগির পায়ের দাম বেড়ে ২০ মিসরীয় পাউন্ড হয়েছে, যা আগের দামের দ্বিগুণ।  সূত্র : সিএনএন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ

যে কারণে মুরগির পা খেতে বললো মিসর সরকার

আপডেট টাইম : ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে মিসরে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। অনেক মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে  সাধারণ খাদ্যপণ্য। এর মধ্যে মুরগিও রয়েছে।

দুই বছর আগে দেশটিতে এক কেজি মুরগির দাম ছিল ৩০ মিসরীয় পাউন্ড (১১৭ টাকা)। গত সোমবার এক কেজি মুরগি ৭০ মিসরীয় পাউন্ডে (২৫১ টাকা) বিক্রি হয়।

অর্থাৎ মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে মুরগির দাম এভাবে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ফলে অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।

এমন পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরে মিসরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নিউট্রিশন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিকল্প খাবারের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় মুরগির পা, এমনকি গবাদিপশুর খুরও রয়েছে। সরকারের এমন আহ্বানে ক্ষুব্ধ অনেক মিসরীয়। মুরগির পা খাদ্যের চেয়ে বর্জ্য হিসেবেই বিবেচনা করেন তারা।

দেশটির গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আল-হাশিমি নিজের চার লাখ অনুসারীর উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করেছি। এতে করে মিসরীয় পাউন্ডের যে অবস্থা খারাপ আর দেশ যে দিন দিন ঋণের দায়ে ডুবে যাচ্ছে, তা ফুটে উঠেছে। ’

মুরগির পা খেতে বলার পর আরেক বিপত্তিও দেখা দিয়েছে। এখন এক কেজি মুরগির পায়ের দাম বেড়ে ২০ মিসরীয় পাউন্ড হয়েছে, যা আগের দামের দ্বিগুণ।  সূত্র : সিএনএন