ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে

গ্রামটি এখন টিউলিপের গ্রাম

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এবারও সীমিত পরিসরে চাষ হয়েছে বিদেশি ফুল টিউলিপের। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফের অর্থায়নে বেরসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসডিও (ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) তিন বছর ধরে টিউলিপ চাষ করছে। তবে এই প্রকল্পকে লোকসানি প্রকল্প দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অন্যদিকে পিকেএসএফের অর্থায়নে টিউলিপ চাষ হলেও বাগানে ঢুকতে প্রবেশ ফি নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দর্শনার্থীরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়া। গ্রামটি এখন টিউলিপের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ বিভিন্ন রঙের ১৯ জাতের টিউলিপ চাষ করা হয়েছে এবার। স্থানীয় ১৬ জন কৃষকের মাধ্যমে বাগানটির পরিচর্যা করা হচ্ছে।

এখন চারাগাছে শোভা পাচ্ছে সারি সারি রংবেরঙের টিউলিপ। দেশের মাটিতে ভিনদেশি এই ফুল দেখতে জড়ো হচ্ছে দর্শনার্থীরা। ঘুরছে বাগানে, তুলছে ছবি। তবে বাগানে ঢুকতে জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।
টিকিট ছাড়া বাগান দেখার উপায় নেই। তাই সাধ করে টিউলিপ দেখতে গিয়ে টিকিটের বেড়াজালে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই। পিকেএসএফের অর্থায়নে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও টিকিট ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দর্শনার্থীরা।

সাইফুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এখানে ঢুকতে ৫০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হচ্ছে। এটা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টকর।

এ জন্য অনেকেই ফিরে যাচ্ছে।’

ইএসডিও তেঁতুলিয়ার ব্যবস্থাপক অলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা ফুল চাষে সফল হয়েছি। তবে বাল্বের দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়া যায়নি।’

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার শীতকালের আবহাওয়া ও জলবায়ু টিউলিপ চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। তবে ফুলের চাষাবাদ ব্যয়বহুল। স্থানীয় বাজারে চাহিদাও কম। তবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট যদি গবেষণা করে দেশেই টিউলিপের বীজ উৎপাদন করতে পারে, তাহলে উৎপাদন খরচ কমে আসবে। তখন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করাও সম্ভব হবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

গ্রামটি এখন টিউলিপের গ্রাম

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এবারও সীমিত পরিসরে চাষ হয়েছে বিদেশি ফুল টিউলিপের। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফের অর্থায়নে বেরসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসডিও (ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) তিন বছর ধরে টিউলিপ চাষ করছে। তবে এই প্রকল্পকে লোকসানি প্রকল্প দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অন্যদিকে পিকেএসএফের অর্থায়নে টিউলিপ চাষ হলেও বাগানে ঢুকতে প্রবেশ ফি নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দর্শনার্থীরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়া। গ্রামটি এখন টিউলিপের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ বিভিন্ন রঙের ১৯ জাতের টিউলিপ চাষ করা হয়েছে এবার। স্থানীয় ১৬ জন কৃষকের মাধ্যমে বাগানটির পরিচর্যা করা হচ্ছে।

এখন চারাগাছে শোভা পাচ্ছে সারি সারি রংবেরঙের টিউলিপ। দেশের মাটিতে ভিনদেশি এই ফুল দেখতে জড়ো হচ্ছে দর্শনার্থীরা। ঘুরছে বাগানে, তুলছে ছবি। তবে বাগানে ঢুকতে জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।
টিকিট ছাড়া বাগান দেখার উপায় নেই। তাই সাধ করে টিউলিপ দেখতে গিয়ে টিকিটের বেড়াজালে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই। পিকেএসএফের অর্থায়নে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও টিকিট ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দর্শনার্থীরা।

সাইফুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এখানে ঢুকতে ৫০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হচ্ছে। এটা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টকর।

এ জন্য অনেকেই ফিরে যাচ্ছে।’

ইএসডিও তেঁতুলিয়ার ব্যবস্থাপক অলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা ফুল চাষে সফল হয়েছি। তবে বাল্বের দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়া যায়নি।’

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার শীতকালের আবহাওয়া ও জলবায়ু টিউলিপ চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। তবে ফুলের চাষাবাদ ব্যয়বহুল। স্থানীয় বাজারে চাহিদাও কম। তবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট যদি গবেষণা করে দেশেই টিউলিপের বীজ উৎপাদন করতে পারে, তাহলে উৎপাদন খরচ কমে আসবে। তখন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করাও সম্ভব হবে।’