বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে তাহিরপুরে নৌকার বাজার জমে ওঠেছে। হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে ঘর থেকে বের হলেই প্রয়োজন হয় নৌকার। নাগরিক জীবনে এ কারণে কদর বেড়ে যায় কাঠের তৈরী এ যানটির। বিশেষ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাওর জনপদে নৌকার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাই বর্ষা মৌসুমে অনেকে নৌকা তৈরী করে বিক্রি করেন। আর শুধু মাত্র নৌকা বিক্রির জন্য অনেকদিন ধরে পরিচিত হয়ে আছে তাহিরপুরের কাউকান্দি বাজার।
উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ২৪৯ টি গ্রামের লোকজন বর্ষা মৌসুমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য এখনও একমাত্র নৌকার উপর নির্ভরশীল। এ কারণে তাহিরপুরে বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রাম গঞ্জে নৌকা কেনাবেচার হিড়িক পড়ে। বিভিন্ন গ্রামের লোকজন হাট বাজার স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও উপজেলা সদরে আসা যাওয়ার জন্য নৌকা কেনেন আবার অনেকে উন্মূক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নৌকা কেনেন। আর এ বিপুল পরিমাণ নৌকার চাহিদা থেকে উপজেলার কাউকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে জমে ওঠেছে নৌকার হাট।
সপ্তাহে দু’দিন শনি ও মঙ্গলবার বসে নৌকার হাট। তাহিরপুর সহ পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত ক্রেতা ছুটে আসেন এ হাটে নৌকা কিনতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহে দুই দিন এ হাটে দুই/তিন শতাধিক নৌকা বেচাকেনা হয়। মঙ্গলবার সরেজমিন বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ মৌসুমে এ হাটে নৌকার দাম খুবই কম। অন্য যেকোন বছরের তুলনায় নৌকার দাম কম থাকায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত তারা।একটি নতুন কিলুয়া নৌকা বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।
উপজেলার জামালড়গড় গ্রামের মৎসজীবী সবুজ মিয়া, রাজধরপুর গ্রামের হাদিসনূর, ইন্দ্রপুর গ্রামের সুশীল বর্মন বলেন, মাছ ধরতে গেলে এক-দুইডা নাও (নৌকা) লাগে, এজন্য তারা প্রতি বছর পুরনো নৌকা বিক্রি করে নতুন নৌকা কেনেন। কাউকান্দি বাজারের ইজারাদার স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বাজারগুলোর চাইতে কাউকান্দি বাজারে ক্রেতাদের হাসিলের জমার টাকা কম নেয়া হয়, যার কারণে ক্রেতারা এ হাটে বেশি করে ভিড় জমান।