বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হালিমা বেগম সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার এক দরিদ্র নারীর নাম। ইচ্ছা শক্তির জোরে সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যেও দশম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা চালিয়েছেন। এরপর শত ইচ্ছা সত্ত্বেও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি অর্থের অভাবে। হার মানতে হয় দারিদ্ররের কাছে।
২০০০ সালে স্থানীয় এক যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় হালিমার সংসার জীবন। স্বামী বেকার থাকায় অভাবের সংসারে মান-অভিমান ছিলো নিত্যদিনের ব্যাপার। এক বছরের মাথায় সংসার আলো করে তাদের কোলে আসে এক কন্যা সন্তান।
সংসারে কিভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনা যায় সে ব্যাপারে সবসময়ই ভাবতেন হালিমা। একদিন তার কাছে খবর আসে লাফার্জ প্ল্যান্টের উদ্যোগে স্থানীয় নারীদের বিনামূল্যে সেলাই কাজ শেখানো হয়। তিনি ঠিক করলেন সেখানে যাবেন এবং সেলাই কাজ শিখবেন। সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন আর্থিক স্বচ্ছলতা জন্য।
সেই দিনগুলো পার করে এসে হালিমা বেগম একজন সাবলম্বী নারী। সেলাই কাজ করে তিনি দিনে প্রায় ২০০ টাকা রোজগার করছেন এবং সংসার চালানোতে স্বামীকে সহযোগিতা করছেন। হালিমা বেগমের মতো নাজমা বেগম, লায়লা বেগম, আসমা বেগম, জুমি, সুইটিসহ প্রায় ৯শতাধিক নারী লাফার্জ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে আজ সেলাই কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন।
হালিমা বেগমের মতো সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহনকারীরা আরো বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এক্ষেত্রে দরকার অর্থ সহায়তা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। লাফার্জ হোলসিমের ম্যানেজার সাব্বির হোসেন জানান, লাফার্জ হোলসিম প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিত উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় নারীদের সাবলম্বী করে তুলতে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় তাদের তৈরি বিভিন্ন পোষাক স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে সহযোগিতা করে কোম্পানিটি।