বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নাটোর সদর উপজেলার পিপরুল, খাজুরা, মাধনগর ও ব্রক্ষপুর ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা হালতি বিলের অংশ। বৈশাখ মাস হতে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিল এলাকা ৫ ফুট হতে ৮ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে হালতি বিল বিখ্যাত। হালতি বিল আত্রাই নদীর সাথে সংযুক্ত। শীতকালে হালতি বিলের যে অংশে পানি থাকে, তা মৎস অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে উক্ত অভয়ারণ্যে শীতকালে যে মাছগুলোকে সংরক্ষণ করা হয়, সেগুলো বর্ষাকালে হালতি বিলে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর পরিমান মাছ উৎপাদন করে।উত্তরাঞ্চলে কোনো সমুদ্র নেই, তাই এ অঞ্চলের মানুষের কাছে সমুদ্রসৈকত এক স্বপ্ন। তবে নাটোরের হালতি বিল এখন সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে এই এলাকার সাগরপিয়াসী মানুষদের। হালতি বিলের উত্তাল জলরাশি আর ঢেউ যে কারো মন নিমেষেই ভালো করে দেয়ার মতো। বর্ষায় অথৈ পানি আর শীতে ফসলি জমির এই বিলের মাঝ বরাবর ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করা হয় ২০০৪ সালে।
পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট, হোটেল ইত্যাদি। এই বিলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসছেন সমুদ্রের স্বাদ নিতে।বিলের সামনের পাটুল-খাজুরা রাস্তায় যেতেই চোখে পড়বে বড় অক্ষরে লেখা সাইনবোর্ড ‘পাটুল মিনি কক্সবাজার’। পথ ধরে দু’কদম গেলেই চোখে পড়বে উত্তাল জলরাশি।
এ এলাকায় উৎপাদিত ছোট-বড় দেশি মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। বর্ষাকালে এ এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়নাভিরাম। বর্ষাকালে হালতি বিলে নৌ-ভ্রমনের জন্য পাটুল- হাপানিয়া এলাকায় প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে নাটোর, নাটোর মাদ্রাসা রোড থেকে পাটুল যাওয়ার সিএনজি পাবেন, ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা তারপর পাটুল ঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে হালতি বিল।