বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাখিরা প্রকৃতির সৌন্দর্য আর অলংকার। পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনতে কার না ভালো লাগে। নানা প্রজাতির পাখির বিচরণে বৈচিত্র্য আসে প্রকৃতিতে। খুলনা নগরের রূপসা বাইপাস সড়কেও দেখা মেলে নানা প্রজাতির পাখির। রূপসা সেতু থেকে শুরু করে বাইপাস রোড প্রায় ২০ কি.মি.।
রাস্তার দু’পাশে ফসলি জমি, খাল-বিল, ডোবার আশপাশে এসব পাখিরা ঘুরে বেড়ায়। নিরাপদ বাসস্থান আর খাবার সংকটে পাখি অনেকাংশে কমে গেলেও এ সড়কে পাখিদের আনাগোনা চোখে পরার মতো। দিনের শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গেই শুরু হয় পাখির কলতান। দুপুরের প্রখর রোদে পাখিরা লুকিয়ে থাকলেও আবার বেলা গড়িয়ে বিকেল নামতেই কিচিরমিচির ডাক শোনা যায়।
নগরের ভ্রমণ পিপাসুরা প্রায় প্রতিদিনই বাইপাস সড়কে ঘুরতে গিয়ে পাখির বিচরণ আর কলকাকলিতে মুগ্ধ হন। সৌখিন ফটোগ্রাফাররা অনেকে ক্যামেরা দিয়ে পাখির ছবি তোলেন। বাইপাস সড়কের দু’পাশে সবুজ গাছের সারি আর ঘন ঝোপঝাড় থাকায় এখানে পাখির সমাগম বেশি থাকে। পরিচিত পাখির সঙ্গে কালেভদ্রে এ সড়কের পাশে বিলুপ্ত প্রায় অনেক পাখিরও দেখা মেলে। দোয়েল, ফিঙ্গে, মৌটুসি, টুনটুনি, চড়ুই, বিভিন্ন প্রজাতির বক, খঞ্জনা, হলদেসহ নাম না জানা অনেক পাখি দেখা যায় এখানে।
নাগরিক কোলাহল ছেড়ে ঘুরতে আসা সৌখিন ফটোগ্রাফার শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ পাখির ছবি তুলতে তুলতে বলেন, ‘সুযোগ পেলে প্রায়ই বিকেলে বাইপাসে ঘুরতে আসি। এখানে প্রকৃতির অনেক কাছে থেকে পাখির ডাক শুনি, সৌন্দর্য উপভোগ করি, ছবি তুলি। বাইপাসে এলে যত পাখি দেখা যায়, শহরের অন্য কোথাও এতো পাখি দেখা যায় না।