বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অ্যাডলফ হিটলারকে চেনে না এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বে অনেক কমই আছে! নিষ্ঠুরতার চরম সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি। জঘন্যতম এক মানব হিসেবে ইতিহাসে তার ঠাঁই হয়েছে। চিরকুমার হিটলার বিয়ে না করলেও নারীসঙ্গ খুবই ভালোবাসতেন।
অনেকের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক থাকলেও ইভা ব্রাউনের নামটি ছিল শীর্ষে। জানা যায়, হিটলার এবং ব্রাউন ১৯৪৫ এ এপ্রিলের শেষ দিকে বিয়ে করেছিলেন। আত্মহত্যার পূর্ব পর্যন্ত ২৪ ঘন্টারও কম সময় একসঙ্গে ছিলেন। এরপর তারা দু’জনেই আত্মহত্যা করেন।
এসব তো পুরনো খবর। তবে জানেন কি, নিষ্ঠুর হিটলার ব্যক্তিজীবনে বিড়াল ভয় পেতেন। তার চোখের সামনে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আর তিনিই কিনা ভয় পেতে বিড়ালকে। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়! হিটলার সম্পর্কিত এমন সব অদ্ভুত আরো কিছু বিষয় জেনে নিন-
১. হিটলার আসলে অস্ট্রিয়ান। তিনি বরাবরই জার্মান জাতীয়বাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিজ আবাসভূমি অস্ট্রিয়াতেই ছিলেন। যুদ্ধের সময়কালেই তিনি জার্মানে ঢুকছিলেন।
২. হিটলার ছোটবেলা থেকেই পাগলামি করতে পছন্দ করতেন। যেটা অন্যদের কাছে কষ্টদায়ক বরাবরই তার কাছে বিষয়টি আনন্দের ছিল। হিটলার তার এক ভাগ্নিকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন বলে তাকে একটি বাড়িতে আজীবন আটকে রেখেছিলেন। ভাবা যায়! কতটা নিষ্ঠুর ছিলেন তিনি।
৩. তখন যদি সেলফি ক্যামেরা থাকত তাহলে বোধ হয় ভালোই হত, অন্তত হিটলার তার ছবিগুলো বিভিন্ন কায়দায় তুলতে পারতেন। কেননা তিনি ছবি তুলতে খুবই পছন্দ করতেন। এমনকি বিভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি তুলতেন।
৪. যিনি বিড়ালকে ভয় পান তিনি কীভাবে বন্দী শিবির পরিদর্শনে যাবেন? হিটলার অবশ্য কোনো দিনই বন্দী শিবির পরিদর্শনে যাননি। কারণ তিনি সেসব নাকি সহ্য করতে পারতেন না! অথচ তার নির্দেশেই সেসব ক্যাম্পে বন্দীদের উপর চলত অমানুষিক নির্যাতন।
৫. হিটলার ছবি আঁকতে অনেক পছন্দ করতেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ফাইন আর্টস একাডেমি থেকে তিনি ১৯০৭ ও ১৯০৮ সালে দুইবার প্রত্যাখ্যাত হন। কারণ তিনি ছবি আঁকার জন্য ফিট ছিলেন না। হিটলারের শখ ছিল, তার আঁকা ছবি লোকে কিনবে। সে ইচ্ছা তার কখনো পূরণ হয়নি।
৬. যে মানুষটি হাজারো মানুষের প্রাণ নিয়েছেন প্রাণীকূলের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। মানুষ কতটা বহুরূপী হতে পারে, ভাবুন একবার!
৭. নিজেকে চিরকুমার বলে দাবি করতেন হিটলার। অন্যদিকে তিনি যৌনউত্তেজক সিমেন ইঞ্জেকশন গ্রহণ করেছিলেন। সেই মেডিকেল রিপোর্টটি এখনো আলেকজেন্ডার হিস্টোরিকেল অ্যাকশনস অব স্ট্যামফোর্ডে রয়েছে।
৮. হিটলারের রাগ ও উত্তেজনা মাঝে মাঝেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত না। এজন্য তিনি ফিমেল সেক্স হরমোন ইস্ট্রোজেনের সাহায্য নিতেন। তিনি নিয়মিত এটি গ্রহণ করতেন। এতে করে তিনি শান্ত থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারতেন। কতটা জঘন্য একটি বিষয়!
৯. নিয়মিত কোকেইন ব্যবহার করতেন হিটলার। তার নেশা ছিল এই ড্রাগের প্রতি। মাঝে মাঝেই তিনি বেঁহুশ হয়ে পড়তেন কোকেইন ব্যবহারের ফলে।
১০. সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন হিটলার। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি রাতের পর রাত জেগে সিনেমা দেখতে শুরু করেন। তার প্রিয় সিনেমার নামটির সঙ্গে আপনার পছন্দও মিলে যেতে পারে। কিং কং সিনেমাটি নিশ্চয় দেখেছেন! এছাড়াও হিটলারের পছন্দের আরেকটি সিনেমা হলো স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস। মিল আছে কি আপনার পছন্দের সঙ্গে?
১১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নারীদের ভাড়া করে আনতেন হিটলার। সেসব নারীরা তার জন্য সন্তান জন্ম দিতেন। নবজাতকদের বড় করা হত দৌড়বিদ হিসেবে। তারা আরিয়ান মাস্টার রেসের সদস্য হতেন। এই ক্যাম্পেইনের নাম দেয়া হয়েছিল লেবানসবর্ন। সেখানে যেসব নারীদেরকে রাখা হত তারা সবাই ছিলেন অবিবাহিত। যদি কেউ ইচ্ছাবশত গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করত তবে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হত বন্দী শিবিরে।
১২. মৃত্যুর আগে হিটলার তার প্রিয় কুকুর ব্লোন্ডির উপর সাইনাইডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছিলেন। এরপরই তিনি সাইনাইড ক্যাপসুল খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সূত্র: ফ্যাক্টসঅনলিডটকম