হাওর অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, অতিদরিদ্র তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবারকে ভিজিএফর আওতায় চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম আজ নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা ও মদন উপজেলায় এ খাদ্য শস্য বিতরণের মাধ্যমে ১০০ দিনের কর্মসূচী শুরু করেন।
এসময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, হাওর এলাকার বন্যা প্লাবিত মানুষের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। নতুন ধান না আসা পর্যন্ত সরকার খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যেসব কৃষক কৃষি ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন তাদের আগামী ১ বছর কৃষি ঋণ পরিশোধ স্থগিত থাকবে। একইভাবে আগামী ১ বছর ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার জন্য তিনি এনজিওদের প্রতি আহবান জানান। মন্ত্রী এ সময় ত্রাণ বিতরণ ও কৃষি পুনর্বাসনে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দেন।
নেত্রকোনার বন্যা কবলিত এলাকায় সাধারণ ত্রাণ হিসেবে ১৪৮ মে. টন চাল, ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভিজিএফ হিসেবে নেত্রকোনা জেলায় ৫০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফ এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
এখানে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ১০ টাকা দরে কেজি চাল ও ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস চালু থাকবে।