গত মঙ্গলবার বিকালে তাকে চট্টগ্রাম থেকে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামের সিআরপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নানা জল্পনা-কল্পনা ও অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দেশবাসী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম, ল্যাবএইডসহ অসংখ্য নামীদামী
হাসপাতাল থাকার পরও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফীকে কেন পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে? নিরাপত্তাজনিত কোনো কারণে, নাকি এর পেছনে অন্য আর কোনো কারণ আছে- এমন জল্পনা-কল্পনা এখন সর্বত্র। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে হেফাজতের একটি সূত্র জানায়, আল্লামা শফীকে যখন ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত হয়, তখনই চট্টগ্রাম সিআরপি হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে কথা বলে স্বজনরা এবং ঢাকার সব হাসপাতাল সম্পর্কে খোঁজ খবর নেই। সবাই তাদের বলে এই আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে আসতে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজত আমিরের একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলম জানান, তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। চোখ মেলে তাকাচ্ছেন। তবে এখনো নিজে থেকে কথা বলেননি।হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার ড. ইকবাল হুসাইন হাওলাদার জানান, আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ভয়ের কিছু নেই। আল্লামা শফীকে উন্নত চিকিৎসা দিতে আট সদস্যের মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়েছে। বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া আশঙ্কাজনক তার কোনো রোগ নেই।