বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ঐতিহাসিক বঙ্গভবনকে আরো সমৃদ্ধকরণ ও জাতীয়ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে এবার ভবনের ভেতরে মূল ভবনের পাশে ৩০ ফুট উচ্চতার একটি একতলা ভবন বানিয়ে ব্যাঙ্কুয়েট হল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এ হলে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, স্পিকারের শপথ গ্রহণের আয়োজন করা হবে। স্থাপত্য নকশা প্রণয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারি অর্থে এটি ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়ন করা হবে। গণপূর্ত অধিদফতর সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে এ হলটি বাস্তবায়ন করবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানী দিলকুশায় ঐতিহাসিক বঙ্গভবন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সরকারি বাসভবন। তিনতলা বিশিষ্ট প্রাসাদপম এ অট্টালিকা ১৯৬১ থেকে ’৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়। এটি একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি কেপিআইভুক্ত এলাকা। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সামরিক ও বেসামরিক সচিবের কার্যালয়। বঙ্গভবনের নিচতলায় পৃথক কক্ষে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কূটনীতিক ও বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথিসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও আগমন ঘটে। মূল ভবনেই এসব কার্যক্রম হয়ে থাকে। এতে অনেক সময় চাপে পড়তে হয়। তাই রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গত বছরের ২৪ নভেম্বর বঙ্গভবনের অভ্যন্তরে মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ‘ব্যাঙ্কুয়েট হল’ নির্মাণের জন্য বলা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রকল্প যাচাই কমিটির সভা ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একটি বেজমেন্টসহ ৩০ ফুট উচ্চতার ‘বঙ্গভবন অভ্যন্তরে মূল ভবনের পাশে ব্যাঙ্কুয়েট ভবন’ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। এটি একটি একতলা ভবন করা হবে। সভায় বলা হয়, এ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেপিআই এলাকায় হওয়ায় নগর উন্নয়ন কমিটির সুপারিশ গ্রহণসহ স্থাপত্য নকশা প্রণয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। প্রকল্পের স্টিয়ারিং ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে স্থাপত্য অধিদফতর ও বঙ্গভবনের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বঙ্গভবনের ভেতরে মূল ভবনের পাশে ৩০ ফুট উচ্চতার একটি একতলা ভবন ব্যাঙ্কুয়েট হল নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন এ হলে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, স্পিকারের শপথ গ্রহণের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া কূটনৈতিক, বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথিসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতেরও ব্যবস্থা থাকবে। তা যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানায়।