ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিরোধে রাতেই রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে শতাধিক ছাত্র-জনতা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন।
আজ রবিবার সকালেও ছাত্র-জনতাকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই এই জমায়েতে যোগ দিচ্ছেন আরও অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল মানুষ গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন। তারা ‘খুনি কেন বাহিরে, মুগ্ধ কেন কবরে,’ ‘নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’-এমন বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার বিচারের দাবি তোলেন তারা।
জিরো পয়েন্টে অবস্থান করা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা যে ভাষায় গোপন মিটিং করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, ইস্ট-ওয়েস্ট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পুড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে, আমরা এটা জানার পর থেকে শঙ্কিত। কারণ, এদের বিশ্বাস নেই, এরা মানুষ মারতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছি। আমরা তাদের সাহসের মাত্রা দেখতে চাই।’
এদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের জমায়েত হওয়ার ডাককে কেন্দ্র করে জিরো পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেন, ‘কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স থাকবে।’
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। কোনো রকম নাশকতা বরদাশত করা হবে না। শান্তিপূর্ণ এলাকা থাকবে পুরো ঢাকা শহর।’
পল্টন থানা পুলিশ জানিয়েছে, তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক’ কর্মসূচি ঘোষণা করলে একই জায়গায় পাল্টা গণজমায়েত ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।