সম্প্রতি নতুন টাকা ছাপিয়ে ছয়টি বাণিজ্যিক দুর্বল ব্যাংককে দিয়েছে বালাদেশ ব্যাংক। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বারবার বলেছিলেন, তারল্য সংকট কাটাতে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হবে না। এবার টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেওয়ার কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দুই-চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক খাতে যা হয়েছে তা অকল্পনীয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর টাকাপাচার করতে পারবে না।
নতুন টাকা ছাপিয়ে ছয়টি ব্যাংকে দেওয়ার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। গভর্নর দিতে চান নাই, ‘‘আমি বলেছি দাও’’। এটা একটু স্থিতিশীল করি। ’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় আবার লেখা হলো, নতুন মুদ্রা ছাপানো হবে। টাকা তো ছাপাতে হবেই, টাকা তো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এখন কী করবে বাংলাদেশ ব্যাংক? এর আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে, বিষয়টা এমন না। কোনোভাবেই যেন ক্রেডিট সাপ্লাই প্রাইভেট সেক্টরে না কমে। তবে এখন একটু কম। ’
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার প্রমুখ।