নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়, আপনারা যত সহজ ভাবছেন।
দলকে ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এমন কিছু করবে, যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব। আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা—বিষয়টি এটি নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি এলাকায় গেলে মোটরসাইকেল বহরের লোক দেখেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এরা অনুপ্রবেশকারী। আগে অন্য দল করত। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়ে উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা বিভ্রান্ত হতেই পারি। কিন্তু যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছি, সহকর্মীবৃন্দ, আমি বিনীতভাবে আপনাদের কাছে করজোরে অনুরোধ করব, এই আলোচনায় শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যত কর্মী-সৈনিক আছেন, আপনাদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, দয়া করে ওই মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘সবাই বলে যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, বিভিন্ন আলোচকৃবন্দও বলেন, যাঁরা বিএনপি করেন না, দেশে একটি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে সরকার গঠনের। আমি আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, মোটরসাইকেলওয়ালাদের তাদের নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বা আমাদের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়ে যদি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, যেখানে অন্য কেউ সরকার গঠন করল, তখন কি আপনি মনে করেন আপনি ভালো থাকতে পারবেন? বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ভালো থাকতে পারবেন? কারা চলে যাবে কি চলে আসবে আমরা জানি না, তবে তা আমাদের কারো জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে—অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে; বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, সেটি কি দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে?’
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৫ আগস্ট নির্বাচন দিন।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ বক্তব্য দেন।