ঢাকা , সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুল করলে পস্তাতে হবে : তারেক রহমান

জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিলে বিএনপির জন্য পরিস্থিতি কতটা নাজুক হতে পারে তা তুলে ধরে নেতাকর্মীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয়, জনগণ ৫ আগস্ট বুঝিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু বুঝিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে, তখন কিন্তু হা-হুতাশ করতে হবে।

গতকাল রবিবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই আলোচনাসভার আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে গতকাল সকালে শেরেবাংলানগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়, আপনারা যত সহজ ভাবছেন।

নিজের মনে যতই বড়াই করুন, আরে বিএনপির তো শাখা-প্রশাখা একদম গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি আছে? থাকতে পারে আপনার শাখা-প্রশাখা, আমাদের নেতাকর্মীরা তৈরি করেছেন সেই শাখা-প্রশাখা, গ্রাম পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেছেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলকে নিয়ে গেছেন। তার পরও জনগণ  ম্যাটারস, জনগণ ম্যাটারস। সেই জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, জনগণ হচ্ছে আমাদের সমর্থন, জনগণ‌ হচ্ছে আমাদের শক্তি।’তারেক রহমান দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘এখনো সময় আছে—আসুন, আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিজেকে যত বড় মনে করি না কেন, জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং নাম বলব না কিছু কিছু রাজনৈতিক শক্তি যে-ই হোক না কেন, ছোট-বড় হোক না কেন, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের বিপক্ষে। এই মোটরসাইকেলওয়ালাদের কিছু কাজকর্মের কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের যুক্ত করে কিছু কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক ও শক্ত হতে হবে।’

দলকে ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এমন কিছু করবে, যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব। আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা—বিষয়টি এটি নয়।

বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের পাশে আছি। জনগণ যেন বোঝে যে জনগণ যেভাবে চায় আমরা সেই ভাবেই আছি, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সেইভাবে তাদের পাশে আছি।’বিএনপির নেতাকর্মীদের ১৭ বছরের নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা-কারাভোগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা মোটামুটি একটা গড় হিসাব জানি, বিএনপির ৬০ লাখ  নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন মিথ্যা-গায়েবি মামলা আছে। শুধু জুলাই-আগস্ট মাসে যে আন্দোলন, জনগণের যে আন্দোলন, সেখানে বিএনপিরই পাঁচ শর মতো নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, হাজারের মতো নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে জখম হয়েছেন। আমরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন; ওই মোটরসাইকেলের বহরের (অনুপ্রবেশকারী) যারা, তারা কি অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে? অবশ্যই নয়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি এলাকায় গেলে মোটরসাইকেল বহরের লোক দেখেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এরা অনুপ্রবেশকারী। আগে অন্য দল করত। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়ে উল্লেখ করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা বিভ্রান্ত হতেই পারি। কিন্তু যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছি, সহকর্মীবৃন্দ, আমি বিনীতভাবে আপনাদের কাছে করজোরে অনুরোধ করব, এই আলোচনায় শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যত কর্মী-সৈনিক আছেন, আপনাদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, দয়া করে ওই মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘সবাই বলে যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, বিভিন্ন আলোচকৃবন্দও বলেন, যাঁরা বিএনপি করেন না, দেশে একটি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে সরকার গঠনের। আমি আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, মোটরসাইকেলওয়ালাদের তাদের নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বা আমাদের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়ে যদি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, যেখানে অন্য কেউ সরকার গঠন করল, তখন কি আপনি মনে করেন আপনি ভালো থাকতে পারবেন? বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ভালো থাকতে পারবেন? কারা চলে যাবে কি চলে আসবে আমরা জানি না, তবে তা আমাদের কারো জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে—অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে; বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, সেটি কি দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে?’

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৫ আগস্ট নির্বাচন দিন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভুল করলে পস্তাতে হবে : তারেক রহমান

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিলে বিএনপির জন্য পরিস্থিতি কতটা নাজুক হতে পারে তা তুলে ধরে নেতাকর্মীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয়, জনগণ ৫ আগস্ট বুঝিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু বুঝিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে, তখন কিন্তু হা-হুতাশ করতে হবে।

গতকাল রবিবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই আলোচনাসভার আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে গতকাল সকালে শেরেবাংলানগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়, আপনারা যত সহজ ভাবছেন।

নিজের মনে যতই বড়াই করুন, আরে বিএনপির তো শাখা-প্রশাখা একদম গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি আছে? থাকতে পারে আপনার শাখা-প্রশাখা, আমাদের নেতাকর্মীরা তৈরি করেছেন সেই শাখা-প্রশাখা, গ্রাম পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেছেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলকে নিয়ে গেছেন। তার পরও জনগণ  ম্যাটারস, জনগণ ম্যাটারস। সেই জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, জনগণ হচ্ছে আমাদের সমর্থন, জনগণ‌ হচ্ছে আমাদের শক্তি।’তারেক রহমান দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘এখনো সময় আছে—আসুন, আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিজেকে যত বড় মনে করি না কেন, জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং নাম বলব না কিছু কিছু রাজনৈতিক শক্তি যে-ই হোক না কেন, ছোট-বড় হোক না কেন, তারা বিভিন্নভাবে আমাদের বিপক্ষে। এই মোটরসাইকেলওয়ালাদের কিছু কাজকর্মের কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের যুক্ত করে কিছু কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক ও শক্ত হতে হবে।’

দলকে ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এমন কিছু করবে, যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব। আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা—বিষয়টি এটি নয়।

বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের পাশে আছি। জনগণ যেন বোঝে যে জনগণ যেভাবে চায় আমরা সেই ভাবেই আছি, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সেইভাবে তাদের পাশে আছি।’বিএনপির নেতাকর্মীদের ১৭ বছরের নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা-কারাভোগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা মোটামুটি একটা গড় হিসাব জানি, বিএনপির ৬০ লাখ  নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন মিথ্যা-গায়েবি মামলা আছে। শুধু জুলাই-আগস্ট মাসে যে আন্দোলন, জনগণের যে আন্দোলন, সেখানে বিএনপিরই পাঁচ শর মতো নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, হাজারের মতো নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে জখম হয়েছেন। আমরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন; ওই মোটরসাইকেলের বহরের (অনুপ্রবেশকারী) যারা, তারা কি অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে? অবশ্যই নয়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি এলাকায় গেলে মোটরসাইকেল বহরের লোক দেখেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এরা অনুপ্রবেশকারী। আগে অন্য দল করত। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে এ বিষয়ে উল্লেখ করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা বিভ্রান্ত হতেই পারি। কিন্তু যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছি, সহকর্মীবৃন্দ, আমি বিনীতভাবে আপনাদের কাছে করজোরে অনুরোধ করব, এই আলোচনায় শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যত কর্মী-সৈনিক আছেন, আপনাদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, দয়া করে ওই মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘সবাই বলে যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, বিভিন্ন আলোচকৃবন্দও বলেন, যাঁরা বিএনপি করেন না, দেশে একটি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে সরকার গঠনের। আমি আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, মোটরসাইকেলওয়ালাদের তাদের নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বা আমাদের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়ে যদি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, যেখানে অন্য কেউ সরকার গঠন করল, তখন কি আপনি মনে করেন আপনি ভালো থাকতে পারবেন? বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ভালো থাকতে পারবেন? কারা চলে যাবে কি চলে আসবে আমরা জানি না, তবে তা আমাদের কারো জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে—অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে; বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে হোক, সেটি কি দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে?’

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৫ আগস্ট নির্বাচন দিন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ বক্তব্য দেন।