ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনের ভোট রাতে’ করার অভিযোগ অনুসন্ধানে নামছে দুদক

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট রাতে করা, জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জমা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যালট জালিয়াতি, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি অভিযোগ এসেছে।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারের সে সময়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের এসব অভিযুক্ত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারী, শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক র‍্যাবপ্রধান ড. বেনজির আহমেদ, সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার।

ইতোমধ্যেই এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুদক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দিনের ভোট রাতে’ করার অভিযোগ অনুসন্ধানে নামছে দুদক

আপডেট টাইম : ৪৪ মিনিট আগে

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট রাতে করা, জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জমা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যালট জালিয়াতি, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি অভিযোগ এসেছে।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারের সে সময়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের এসব অভিযুক্ত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারী, শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক র‍্যাবপ্রধান ড. বেনজির আহমেদ, সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার।

ইতোমধ্যেই এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুদক।