এই মহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কারের বেশি জরুরি বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।আজ রবিবার আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন, পুলিশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারে কমিশন গঠন করেছে। তবে অর্থনীতি সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন হয়নি। অর্থনীতিবিদরা এ ধরনের কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।’
অর্থনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে অনেক কথা-বার্তা বলেছি। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি অর্থনৈতিক সংস্কার। সেটা যদি আমরা না করতে পারি… অর্থনৈতিক সংস্কার করা কঠিন, আবার সহজ। কঠিন হলো এখানে অনেকগুলো ফান্ডামেন্টাল আইন কানুন রয়েছে। কিন্তু প্রক্রিয়াগত যে আইন-কানুন রয়েছে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার, সুষ্ঠু ব্যবহার ও স্বচ্ছভাবে ব্যবহার করতে পারলে এই সংস্কার খুব বেশি কঠিন হবে না। বিষয়টি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। সিস্টেম আছে, কিন্তু সিস্টেমটা আমরা ঠিকমতো ব্যবহার করছি না।’
রাজস্ব আদায় ও ব্যবস্থাপনায় দেশ সঠিক পথে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মোটামুটি এগিয়ে আছি। প্রযুক্তিগত ও প্রক্রিয়াগত দিক থেকে পিছিয়ে আছি। আমাদের আধুনিক যুগে প্রবেশ করতে হবে।’
এই সময়ে রাজস্ব আদায় ও তা ব্যয় করা চ্যালেঞ্জের জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যয়টা নির্বিচারে করব, সেটা মোটেই ঠিক হবে না। আমাদের রাজস্ব আয় ও ব্যয় উভয়ই যৌক্তিক করতে হবে। এটা সবার আকাঙক্ষা। তাই আপনারা রাজস্ব আহরণে সহায়তা করুন। জোর করে টাকা পয়সা আদায় করা যাবে না।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘একটু ইতিবাচক দৃষ্টিতে আমাদের দেখবেন। সবই খারাপ বাংলাদেশে, সবই ভালো, এই হচ্ছে না, ওই হচ্ছে না, পেঁয়াজের দাম কমে গেছে, আলুর দাম কমে গেছে, চালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সব জিনিসের দাম একত্রে কমে গেছে এটা পৃথিবীর কোনো দেশে আমরা দেখিনি। সব জিনিসের দাম একত্রে বেড়ে যাবে, এটাও আমরা আশা করি না। তবে এটা ঠিক ডেফেনেটলি জনগণের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না অনেকেরই।’