ঢাকা , বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে না: অর্থমন্ত্রী

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গত সাত বছরে বাজেটের পর পণ্যের দাম বাড়েনি, এবারও বাড়বে না।
শুক্রবার বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজের বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছি। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় অনেক বেড়েছে। নানা পদক্ষেপের কারণে করদাতা বেড়েছে।’
পোশাক শিল্পের উৎস কর বৃদ্ধি নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘এটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই। কারণ তারা ব্যবসার ভালো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা তাদের ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না’।
মোবাইলে কথা বলার ওপর ট্যাক্স বাড়ানো প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যত মানুষ মোবাইলের সিম ব্যবহার করেন, তা থেকে আগে ট্যাক্স যতটা আসত, এখন আর তেমন আসে না। তবে কথা বলার ওপর যে এক ভাগ কর বাড়ানো হয়েছে, এটা যারা কথা বলেন তাদের কাছে তেমন কোনো বিষয় নয়। আর রাজস্ব আদায়ের এটি উত্তম উপায়। সরকারের কাছ থেকে সেবা পেতে হলে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এজন্য রাজস্ব একটু বেশি দিলে মন্দ হয় না।’
পৃথিবীর দু’একটি দেশ ছাড়া বাংলাদেশে রাজস্ব আদায় কম হয় এমন দাবি করে তিনি বলেন, মানুষ সেবা চায়। সেবা পেতে হলে রাজস্ব বেশি দিতে হবে।
কালো টাকা সাদা করার বিষয় অর্থমন্ত্রী বলেন,এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি আমরা আগেই বলে দিয়েছি। বাংলাদেশে একটি আইন আছে অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শিত করার চিন্তা করে তাহলে কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে এটা করা যায়।
বেসরকারি খাতে পেনশন চালুর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তবে সময় লাগবে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালেই আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করবো।
পেনশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তি নিজের থেকে কিছু টাকা দিবেন। আর প্রতিষ্ঠানও কিছু দিবে। এর সমন্বয়ে পেনশন সুবিধা দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই বাজেট গণমুখী। এটা বাস্তবায়নযোগ্য।’
যারা বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলছেন তাদের বক্তব্যেকে সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, আমরা বড় স্বপ্ন দেখি। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য বড় অংকের বাজেট দেয়া হয়েছে।
বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির যারা বাজেট নিয়ে কথা বলছেন তারা বাজেট বক্তৃতা শুনেননি,দেখেনওনি।’
বিদেশি মোটোরসাইকেলের আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে দেশীয় শিল্প উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ অতীতেও বিদেশি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছিল। সে সময় দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর আমরা এমন কিছু করবো না যাতে দেশের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে না: অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০১৬
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গত সাত বছরে বাজেটের পর পণ্যের দাম বাড়েনি, এবারও বাড়বে না।
শুক্রবার বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজের বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছি। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় অনেক বেড়েছে। নানা পদক্ষেপের কারণে করদাতা বেড়েছে।’
পোশাক শিল্পের উৎস কর বৃদ্ধি নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘এটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই। কারণ তারা ব্যবসার ভালো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা তাদের ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না’।
মোবাইলে কথা বলার ওপর ট্যাক্স বাড়ানো প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যত মানুষ মোবাইলের সিম ব্যবহার করেন, তা থেকে আগে ট্যাক্স যতটা আসত, এখন আর তেমন আসে না। তবে কথা বলার ওপর যে এক ভাগ কর বাড়ানো হয়েছে, এটা যারা কথা বলেন তাদের কাছে তেমন কোনো বিষয় নয়। আর রাজস্ব আদায়ের এটি উত্তম উপায়। সরকারের কাছ থেকে সেবা পেতে হলে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এজন্য রাজস্ব একটু বেশি দিলে মন্দ হয় না।’
পৃথিবীর দু’একটি দেশ ছাড়া বাংলাদেশে রাজস্ব আদায় কম হয় এমন দাবি করে তিনি বলেন, মানুষ সেবা চায়। সেবা পেতে হলে রাজস্ব বেশি দিতে হবে।
কালো টাকা সাদা করার বিষয় অর্থমন্ত্রী বলেন,এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি আমরা আগেই বলে দিয়েছি। বাংলাদেশে একটি আইন আছে অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শিত করার চিন্তা করে তাহলে কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে এটা করা যায়।
বেসরকারি খাতে পেনশন চালুর পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তবে সময় লাগবে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালেই আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করবো।
পেনশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তি নিজের থেকে কিছু টাকা দিবেন। আর প্রতিষ্ঠানও কিছু দিবে। এর সমন্বয়ে পেনশন সুবিধা দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই বাজেট গণমুখী। এটা বাস্তবায়নযোগ্য।’
যারা বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলছেন তাদের বক্তব্যেকে সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, আমরা বড় স্বপ্ন দেখি। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য বড় অংকের বাজেট দেয়া হয়েছে।
বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির যারা বাজেট নিয়ে কথা বলছেন তারা বাজেট বক্তৃতা শুনেননি,দেখেনওনি।’
বিদেশি মোটোরসাইকেলের আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে দেশীয় শিল্প উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ অতীতেও বিদেশি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছিল। সে সময় দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর আমরা এমন কিছু করবো না যাতে দেশের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।