ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোববার থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট

সড়কপথে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার থেকে।

সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে কেবল কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়। রোববার থেকে নদীপথে ভ্রমণকারীরা লঞ্চগুলোর কেবিনের আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে কেবিনের বাইরে সাধারণ আসনগুলোর টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে না।

এদিকে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০টি কেবিন রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চাঁদপুরসহ অন্য সকল রুটের লঞ্চে ৮০ থেকে ১২০টি কেবিন রয়েছে।

জানা গেছে, এসি কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৮০০ টাকা, ননএসি কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৬০০ টাকা, এসি কেবিন (সিঙ্গেল) ১ হাজার টাকা এবং ননএসি সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৮৫০ টাকা। আর বর্তমানে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা-হুলারহাট রুটে ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকা। কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহফুজ বলেন, ঢাকা-চাঁদপুর রুটে লঞ্চের ওপর নির্ভর করে কেবিনের ভাড়া নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ভিআইপি কেবিনের ভাড়া দুই হাজার পাঁচশত টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোর ডেকের ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে।

মো. মাহফুজ বলেন, ঈদ উপলক্ষে বর্তমান ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি করা হবে।

এদিকে নতুন চারটি লঞ্চ ঈদে নদীপথে যুক্ত হলেও পুরাতন কয়েকটি লঞ্চ ফিটনেস, টাইম ও রুট পারমিট পেলেই ঈদযাত্রায় যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অন্যতম রুট নদীপথে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে যাত্রীদের চাপ খুব লক্ষণীয় থাকে। তাই বিশেষ উৎসবগুলোতেও অতিরিক্ত লঞ্চ যুক্ত করা হয়। সদরঘাট থেকে দেশের ৪১টি নৌপথে লঞ্চ ছেড়ে যায়। বর্তমানে এসব রুটে প্রায় ১৮০টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে আরো নয়টি নতুন লঞ্চ আসবে। নতুন লঞ্চগুলো ফিটনেস, টাইম ও রুট পারমিট পেলেই ঈদযাত্রায় যুক্ত হবে বলেও জানান মো. মাহফুজ।

এর মধ্যে নতুন লঞ্চগুলো ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-পটুয়াখালী এবং ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করবে। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলবে বাংলার টাইটানিক খ্যাত সুন্দরবন-১০ ও পারাবত-১২, ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলবে এমভি রিপল ও বোগদাদিয়া-৭। এ ছাড়া ঢাকা থেকে পটুয়াখালী রুটে চলবে এ আর খান। বাকি পাঁচটি লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে এসএম গ্রুপ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে চলাচলের জন্য আনবে বলে জানিয়েছেন নৌনিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন।

তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার হিসাবরক্ষক মো. হান্নান খান জানান, ঈদ উপলক্ষে ১০ থেকে ১২টি নতুন লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাবে।

অন্যদিকে দ্রুতগতির লঞ্চ গ্রিনলাইন ঈদের সময় পূর্বনির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী চলাচল করবে। আর এ লঞ্চের যাত্রীদের জন্যও আগের ভাড়াই বহাল থাকবে বলে সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রোববার থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০১৬

সড়কপথে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার থেকে।

সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে কেবল কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়। রোববার থেকে নদীপথে ভ্রমণকারীরা লঞ্চগুলোর কেবিনের আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে কেবিনের বাইরে সাধারণ আসনগুলোর টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে না।

এদিকে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে প্রায় ১৫০ থেকে ১৮০টি কেবিন রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চাঁদপুরসহ অন্য সকল রুটের লঞ্চে ৮০ থেকে ১২০টি কেবিন রয়েছে।

জানা গেছে, এসি কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৮০০ টাকা, ননএসি কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৬০০ টাকা, এসি কেবিন (সিঙ্গেল) ১ হাজার টাকা এবং ননএসি সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৮৫০ টাকা। আর বর্তমানে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা-হুলারহাট রুটে ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকা। কেবিন (ডাবল) ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহফুজ বলেন, ঢাকা-চাঁদপুর রুটে লঞ্চের ওপর নির্ভর করে কেবিনের ভাড়া নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ভিআইপি কেবিনের ভাড়া দুই হাজার পাঁচশত টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোর ডেকের ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে।

মো. মাহফুজ বলেন, ঈদ উপলক্ষে বর্তমান ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি করা হবে।

এদিকে নতুন চারটি লঞ্চ ঈদে নদীপথে যুক্ত হলেও পুরাতন কয়েকটি লঞ্চ ফিটনেস, টাইম ও রুট পারমিট পেলেই ঈদযাত্রায় যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অন্যতম রুট নদীপথে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে যাত্রীদের চাপ খুব লক্ষণীয় থাকে। তাই বিশেষ উৎসবগুলোতেও অতিরিক্ত লঞ্চ যুক্ত করা হয়। সদরঘাট থেকে দেশের ৪১টি নৌপথে লঞ্চ ছেড়ে যায়। বর্তমানে এসব রুটে প্রায় ১৮০টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে আরো নয়টি নতুন লঞ্চ আসবে। নতুন লঞ্চগুলো ফিটনেস, টাইম ও রুট পারমিট পেলেই ঈদযাত্রায় যুক্ত হবে বলেও জানান মো. মাহফুজ।

এর মধ্যে নতুন লঞ্চগুলো ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-পটুয়াখালী এবং ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করবে। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলবে বাংলার টাইটানিক খ্যাত সুন্দরবন-১০ ও পারাবত-১২, ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলবে এমভি রিপল ও বোগদাদিয়া-৭। এ ছাড়া ঢাকা থেকে পটুয়াখালী রুটে চলবে এ আর খান। বাকি পাঁচটি লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে এসএম গ্রুপ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে চলাচলের জন্য আনবে বলে জানিয়েছেন নৌনিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন।

তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার হিসাবরক্ষক মো. হান্নান খান জানান, ঈদ উপলক্ষে ১০ থেকে ১২টি নতুন লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাবে।

অন্যদিকে দ্রুতগতির লঞ্চ গ্রিনলাইন ঈদের সময় পূর্বনির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী চলাচল করবে। আর এ লঞ্চের যাত্রীদের জন্যও আগের ভাড়াই বহাল থাকবে বলে সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে।