আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ৫৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আরো চার বিচারপতি একমত হয়েছেন।
চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এদিকে রায়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন
তিন বিচারপতি। তারা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি নিজামুল হক।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রী আইন লঙ্ঘন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে নেয়া শপথ ভঙ্গ করেছেন। তারা বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য গত ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন।
গত ৫ মার্চ ঢাকায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির এক গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেছিলেন।
এরপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তাদের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে রায় দেয়া হয়।
দুই মন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে আদালতে আবেদন করার পর গত ২০ মার্চ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, ‘দুই মন্ত্রীর বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা করেছেন তারা।