বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ডেঙ্গুজ্বরে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রূবাইয়া আক্তার (১১)।
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রূবাইয়া মারা যায়।
রূবাইয়া ওই উপজেলার কয়রা গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে ও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
মৃতের মামা ইউনুস আলী জানান, গত বুধবার নিজ বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হলে রূবাইয়াকে বৃহস্পতিবার শিবালয় উপজেলার উথলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় পার্শ্ববর্তী টেপরায় বেসরকারি আলশেফা প্যাথলজি সেন্টারে রক্তের পরীক্ষা করানো হয়।
পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে উথলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে দেখানো হলে ডেঙ্গু সনাক্ত হয়। পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে রূবাইয়াকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মানিকগঞ্জ ২৫৯ শয্যার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্যালাইন ও ইনজেকশন পুঁশ করার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিকালে রূবাইয়াকে সেখানে নিয়ে গেলে সিট পাওয়া যায়নি। পরে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রূবাইয়া মারা যায়।
রাতেই তাকে গ্রামের বাড়ি শিবালয় উপজেলার কয়রা গ্রামে আনা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নারগিস আক্তার বলেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রূবাইয়াকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর থাকায় তাকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে তাকে গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুজ্বরে চারজনের মৃতু হলো। এরমধ্যে ৫ আগস্ট মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। এর এক সপ্তাহ পর শিবালয়ের ফেছুয়াধারা গ্রামে আমজাদ মণ্ডল (৫০) ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া গত ৪ আগস্ট ২৭ দিনের শিশু সন্তান রেখে মানিকগঞ্জের মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের নার্স চামেলী বেগম (২৮) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।