বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কোলন বা বৃহদন্ত্র, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ, সেখানে নানা রকম রোগ হতে পারে যেমন- ডিসেন্ট্রি, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজ, টিবি, কোলন পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি।
এদের মধ্যে সাধারণ সমস্যা হচ্ছে কোলন পলিপ। পলিপ হচ্ছে, আঙুলের মাথার মতো একটি অস্বাভাবিক অংশ, যা কোলনের দেয়াল থেকে বেরিয়ে আসে।
সাধারণত ৩০ বছরের পর বৃহদন্ত্রে এই পলিপ দেখা দেয়, অবশ্য ছোটবেলাতেও কিছু কিছু পলিপ দেখা দিতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে– পলিপ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কোলন পলিপ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখান থেকেই কোলন ক্যান্সারের সূত্রপাত হতে পারে।
যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
সাধারণত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। নিঃশব্দে শরীরে বেড়ে ওঠে তখন মলের সঙ্গে রক্ত, কাল মল হওয়া, রক্তশূন্যতা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ হওয়া এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
রোগ নির্ণয়
পাইলস ও পায়ুপথের অন্যান্য রোগের মতো কোলন পলিপেও রক্ত যায়। এ সমস্যাকে রোগীরা পাইলস ভেবে ভুল করেন। কোলন পলিপ নির্ণয়ের আধুনিক পরীক্ষা হচ্ছে কোলোনোস্কোপি। একমাত্র এ পরীক্ষার মাধ্যমেই কোলন পলিপ নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা
পলিপ কোলোনোস্কোপির মাধ্যমেই অপসারণ করা যায়। রোগীকে অজ্ঞান করারও কোনো প্রয়োজন নেই। কয়েক ঘণ্টা পরেই পলিপ অপারেশনের রোগী বাসায় ফিরে যেতে পারেন।
লেখক:
কোলোরেকটাল সার্জন
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল
ধানমণ্ডি, ঢাকা।