বাগান করা অনেকেরই শখ। কারও সবজির বাগান; কারও বা ফুলের বাগান। ফলের বাগানও করেন কেউ কেউ। বাগান সেটি যে গাছেরই হোক, ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় দেখা দেয়। প্রকৃত ফলনে বাধার সৃষ্টি করে। ক্ষেত্রবিশেষে গাছকে মেরেও ফেলে। বাজারে পোকা মারার অসংখ্য কীটনাশক আছে, যার একটিও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত নয়।
শুধু জৈব কীটনাশক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। এটি প্রয়োগে কোনো ক্ষতি নেই, তা পরিমাণে কম-বেশি হলেও। আর বানানোর প্রক্রিয়াও সহজ। ঘরে বসেই অল্প খরচে তৈরি করা যাবে। তৈরির পরে সংরক্ষণ করে অনেক দিন ব্যবহার করা সম্ভব। উপকারী দুটি নিম কীটনাশকের আদ্যোপান্ত নিচে বলা হলো-
নিম কীটনাশক-০১
উপকরণ: নিমপাতা, ডাল, ছাল, কাঁচা হলুদ ও কর্পূর।
তৈরির প্রক্রিয়া: নিমপাতা, ডাল ও ছাল একটি হাঁড়িতে রেখে তার মধ্যে পরিমাণমতো কাঁচা হলুদ ও অল্প একটু কর্পূর দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। পানি চায়ের লিকারের মতো হলে নামিয়ে একদিন রেখে দিন।
এক লিটার পানিতে পাঁচ এমএল মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করবেন। ক্ষতিকারক পোকামাকড় দূর হবে। সাত দিন পরপর একবার করা ভালো। জৈব কীটনাশক তাই কোনো ক্ষতি হওয়ার সুযোগ নেই। বোতলে ভরে বাকি অংশ সংরক্ষণ করা যাবে।
নিম কীটনাশক-০২
উপকরণ: নিমপাতা ও কাঁচা রসুন।
তৈরির প্রক্রিয়া: নিমপাতার মধ্যে তিন টুকরো কাঁচা রসুন দিন। এক লিটার পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। মিশ্রণ ঘন হলে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা হলে সরাসরি বা পানি মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করতে হবে।
নিম কীটনাশক-০৩
উপকরণ: এক লিটার পানি, ২০০ গ্রাম নিমপাতা ও পাঁচ গ্রাম সাবান (তরল সাবান)।
তৈরির প্রক্রিয়া: কাঁচা নিমপাতা এক লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১২ ঘণ্টা। তারপর পানি থেকে নিমপাতা তুলে নিতে হবে। এ পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে আগের পানিতে মিশাতে হবে। এর আগে ওই পানির একটুখানি নিয়ে তাতে তরল সাবান মিশিয়ে নিন।
এখন এ পানি আগের পানির মধ্যে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেল জৈব কীটনাশক। সন্ধ্যার পরে জৈব কীটনাশক স্প্রে করলে সুফল বেশি পাওয়া যাবে। সূর্যের আলোতে নিম কীটনাশক কম কাজ করে।