বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনেকেই ভাবেন আলু খেলে ওজন বেড়ে যায়। তবে সেদ্ধ আলু খেলে ওজন বাড়ার বদলে মেলে নানা উপকার। জেনে নিন এ বিষয়ে-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে
আলুতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে চোখে পরার মতো। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
নিয়মিত আলু সিদ্ধ খাওয়া শুরু করলে বাস্তবিকই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো। আসলে আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ব্রেন পাওয়ারকে নিমেষে বাড়িয়ে তুলতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। তাই বুড়ো বয়স পর্যন্ত ব্রেন একেবাপরে ঘোড়ার মতো ছুটুক, এমমনটা যদি চান, তাহলে রোজের ডায়েটে সিদ্ধ আলুকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!
ফাইবারের চাহিদা মিটবে
মাঝারি মাপের একটা আলুতে প্রায় ২ গ্রামের কাছকাছি ফাইবার থাকে, যা সারা দিনের মোট ফাইবারের চাহিদার প্রায় ৮ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। প্রসঙ্গত, ডায়াটারি ফাইবার একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে যাতে কোনও সময় ফাইবারের ঘাটতি দেখা না দেয়, সে দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এ ক্ষেত্রে আলুর কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না।
ভিটামিন সি-এর যোগান ঠিক থাকবে
শরীরকে সুস্থ রাখতে এই বিশেষ ভিটামিনটির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। আর নিয়মিত আলু খেলে শরীরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। সেই কারণেই তো আলুকে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় বেশ উপরের দিকে জায়গা দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর হবে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, আলুতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এই শরীরের আরও উপকারে লাগে। আর এ কথা জেনে রাখা ভাল যে কলাতে যে পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ রয়েছে অলুতে। তাই এই সবজিটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে ব্লাড প্রেসারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই এই সবজিটি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়, এই বলে আলুকে কোনওভাবেই কাঠগড়ার দাঁড় করানো উচিত নয়। বরং বেশি করে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে
আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক শরীরের ভিতরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে, যে কোনও ধরনের ত্বকের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ত্বকের পরিচর্যায় আরেকভাবেও আলুকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আলু নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টের সঙ্গে অল্প পরিমাণ মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এভাবে প্রতিদিন ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন দারুন ফল মিলতে শুরু করেছে।