ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাতির বয়সীর সঙ্গে বিয়েতে বাধা আদালত

বয়সের তফাৎ অনেক। একজন দাদীর বয়সী অন্যজন নাতির বয়সী। তাতে কি? প্রেম তো কোন বয়স মানে না, সীমানাও মানে না।তবে অনেক সময় অসম প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সমাজ, রাষ্ট্র। সম্প্রতি এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে সুইজারল্যান্ডে।

ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ বছর বয়সী তিউনিশিয়া এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমে জড়ান ৭১ বছর বয়সী সুইজারল্যান্ডের এক বৃদ্ধা।দীর্ঘ তিন বছর ধরে নাতির বয়সী এক যুবকের সঙ্গে চলে মন দেয়া নেয়া। যখন আলাপ পরিচয় শুরু হয় তখন ছেলেটির বয়স ছিল ১৮।দীর্ঘ তিন বছর তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়ার পর্ব চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি তারা দুজনেই বিয়ের জন্য সুইস আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের অসম প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আদালত জানিয়েছে, তিউনিশিয়ার ওই যুবক মূলত বৃদ্ধাকে বিয়ে করে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হতে চাচ্ছে। ওই যুবক বৃদ্ধাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে। কাজেই তাদের বিয়েটা হবে নকল।

তবে বৃদ্ধার ভাষ্য, ওই ছেলের বয়স যখন ১৮, তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার অনলাইনে পরিচয়। এরপর গত সামার আমি তিউনিশিয়ায় ওই ছেলের সঙ্গে দেখাও করেছি।

তিনি মনে করেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের কোন বাধা হতে পারে না। কারণ আমি তো তার কাছে কোন সন্তান চাচ্ছি না।আমি তাকে ভালোবাসি এবং তার সঙ্গেই থাকতেই চাই। কিন্তু তার কথায় বিচারকের মন গলেনি। বিচারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- ওই ছেলেকে বৃদ্ধা বিয়ে করতে পারবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নাতির বয়সীর সঙ্গে বিয়েতে বাধা আদালত

আপডেট টাইম : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০১৬

বয়সের তফাৎ অনেক। একজন দাদীর বয়সী অন্যজন নাতির বয়সী। তাতে কি? প্রেম তো কোন বয়স মানে না, সীমানাও মানে না।তবে অনেক সময় অসম প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সমাজ, রাষ্ট্র। সম্প্রতি এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে সুইজারল্যান্ডে।

ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ বছর বয়সী তিউনিশিয়া এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমে জড়ান ৭১ বছর বয়সী সুইজারল্যান্ডের এক বৃদ্ধা।দীর্ঘ তিন বছর ধরে নাতির বয়সী এক যুবকের সঙ্গে চলে মন দেয়া নেয়া। যখন আলাপ পরিচয় শুরু হয় তখন ছেলেটির বয়স ছিল ১৮।দীর্ঘ তিন বছর তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়ার পর্ব চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি তারা দুজনেই বিয়ের জন্য সুইস আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের অসম প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আদালত জানিয়েছে, তিউনিশিয়ার ওই যুবক মূলত বৃদ্ধাকে বিয়ে করে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হতে চাচ্ছে। ওই যুবক বৃদ্ধাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে। কাজেই তাদের বিয়েটা হবে নকল।

তবে বৃদ্ধার ভাষ্য, ওই ছেলের বয়স যখন ১৮, তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার অনলাইনে পরিচয়। এরপর গত সামার আমি তিউনিশিয়ায় ওই ছেলের সঙ্গে দেখাও করেছি।

তিনি মনে করেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সের কোন বাধা হতে পারে না। কারণ আমি তো তার কাছে কোন সন্তান চাচ্ছি না।আমি তাকে ভালোবাসি এবং তার সঙ্গেই থাকতেই চাই। কিন্তু তার কথায় বিচারকের মন গলেনি। বিচারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- ওই ছেলেকে বৃদ্ধা বিয়ে করতে পারবে না।