ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হচ্ছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার সুরক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন করে করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। সেইসঙ্গে সাইবার সুরক্ষা দিতে নতুন আইন করা হবে। বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন মানুষের কাছে অনাস্থার জায়গা থেকেই যাবে। তাই আইন সংশোধন বা নাম রাখাকে সমর্থন করা যায় না। আইনের পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু পরিবর্তন বা সংশোধনের মাঝের সময়টুকুতে এটিকে স্থগিত বা কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে করে এই আইনের আওতায় আর একটাও মামলা না হয়।’
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পুরো আইন ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামও বাতিলের আহ্বান জানাই।’

মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কলম নিবৃত করার এক অন্যতম হাতিয়ার সাইবার নিরাপত্তা আইন। যা ভিন্নমত দমনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যাববহার করেছিল বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। বিগত সরকারের সময় এই আইনে ৫০০ শতাধিক মামলা হয়, যাতে জামিন পাওয়াতো দূরের কথা দীর্ঘ দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে অনেক ভুক্তভোগীর। যার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি ওঠে এই আইন বাতিলের।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হচ্ছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার সুরক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন করে করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। সেইসঙ্গে সাইবার সুরক্ষা দিতে নতুন আইন করা হবে। বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন মানুষের কাছে অনাস্থার জায়গা থেকেই যাবে। তাই আইন সংশোধন বা নাম রাখাকে সমর্থন করা যায় না। আইনের পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু পরিবর্তন বা সংশোধনের মাঝের সময়টুকুতে এটিকে স্থগিত বা কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে করে এই আইনের আওতায় আর একটাও মামলা না হয়।’
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পুরো আইন ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামও বাতিলের আহ্বান জানাই।’

মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কলম নিবৃত করার এক অন্যতম হাতিয়ার সাইবার নিরাপত্তা আইন। যা ভিন্নমত দমনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যাববহার করেছিল বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। বিগত সরকারের সময় এই আইনে ৫০০ শতাধিক মামলা হয়, যাতে জামিন পাওয়াতো দূরের কথা দীর্ঘ দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে অনেক ভুক্তভোগীর। যার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি ওঠে এই আইন বাতিলের।