ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকায় অঞ্জু ঘোষ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমার চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ এখন ঢাকায়। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পর দেশে ফিরলেন। মূলত তিনি শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন। বর্তমানে অঞ্জু ঘোষ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন কলকাতায়। কলকাতায় বেশকিছু ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

দীর্ঘ বিরতির পর দেশে ফিরলেন, কেনোইবা দেশে আসেন না? এসম্পর্কে অঞ্জু ঘোষ বলেন, আমি গত বুধবার ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় কয়েকদিন থাকব। প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করব।আমার কাছে মনে হচ্ছে না যে আমি অনেক দিন পর ঢাকায় এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। অনেকে আমাকে মনে রেখেছে এটাই আমার কর্মের গুণ। এতদিন পর কেন দেশে আসলেন? দেশের প্রতি কোনো অভিমান আছে কী?

এমন প্রশ্নের উত্তর হেসে উড়িয়ে দিয়ে অঞ্জু ঘোষ বলেন.‘ দেশের প্রতি আমার কোনো অভিমান নেই। মানুষ অভিমান করে নিজের সাথে, কিন্তু দেশের সাথে কখনো অভিমান করে না। আমার দেশ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি।

শিল্পী সমিতির প্রশংসা করে তিনি বলেন,‘ বর্তমান কমিটি আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে। তারা আমার খোঁজ-খবর নিয়েছে। তাদের আমন্ত্রণে আমার ঢাকায় আসা। দেশের বাইরে থেকেও আমি নিজেকে উপলব্ধি করেছি। বুঝতে পেরেছি আমাকে সবাই  অনেক ভালোবাসে।’

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, আমি সব শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি। তিনি সমিতির ডাকে ঢাকায় এসেছেন। আগামী রোববার (সেপ্টেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলতে চেয়েছেন।আমারও ভালো লাগছে এমন একজন শিল্পীকে আমাদের মাঝে পেয়ে।’

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি কলকাতায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি আর কখনও বাংলাদেশে আসেননি। অঞ্জু ঘোষ ১৯৭২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। নির্মাতা এফ কবির চৌধুরীর হাত ধরে ১৯৮২ সালে ‘সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আগমন ঘটে তার। এরপর ১৯৮৯ সালে ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ তাঁকে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। ঢালিউডে প্রায় ৫০টি ছবির অভিনেত্রী তিনি।

বাংলাদেশে তার উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বড় ভালো লোক ছিলো’, ‘আবে হায়াত’, ‘প্রাণ সজনী’, ‘ধন দৌলত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রক্তের বন্দি’, ‘আওলাদ’, ‘চন্দনা ডাকু’, ‘মর্যাদা’, ‘নিয়ত’, ‘দায়ী কে’, ‘কুসুমপুরের কদম আলী’, ‘অবরোধ’, ‘শিকার’, ‘রঙ্গিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘চোর ডাকাত পুলিশ’, ‘শঙ্খমালা’, ‘আদেশ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘এই নিয়ে সংসার’, ‘গাড়ীয়াল ভাই’, ‘প্রেম যমুনা’ ইত্যাদি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকায় অঞ্জু ঘোষ

আপডেট টাইম : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমার চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ এখন ঢাকায়। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পর দেশে ফিরলেন। মূলত তিনি শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন। বর্তমানে অঞ্জু ঘোষ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন কলকাতায়। কলকাতায় বেশকিছু ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

দীর্ঘ বিরতির পর দেশে ফিরলেন, কেনোইবা দেশে আসেন না? এসম্পর্কে অঞ্জু ঘোষ বলেন, আমি গত বুধবার ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় কয়েকদিন থাকব। প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করব।আমার কাছে মনে হচ্ছে না যে আমি অনেক দিন পর ঢাকায় এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। অনেকে আমাকে মনে রেখেছে এটাই আমার কর্মের গুণ। এতদিন পর কেন দেশে আসলেন? দেশের প্রতি কোনো অভিমান আছে কী?

এমন প্রশ্নের উত্তর হেসে উড়িয়ে দিয়ে অঞ্জু ঘোষ বলেন.‘ দেশের প্রতি আমার কোনো অভিমান নেই। মানুষ অভিমান করে নিজের সাথে, কিন্তু দেশের সাথে কখনো অভিমান করে না। আমার দেশ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি।

শিল্পী সমিতির প্রশংসা করে তিনি বলেন,‘ বর্তমান কমিটি আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে। তারা আমার খোঁজ-খবর নিয়েছে। তাদের আমন্ত্রণে আমার ঢাকায় আসা। দেশের বাইরে থেকেও আমি নিজেকে উপলব্ধি করেছি। বুঝতে পেরেছি আমাকে সবাই  অনেক ভালোবাসে।’

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, আমি সব শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি। তিনি সমিতির ডাকে ঢাকায় এসেছেন। আগামী রোববার (সেপ্টেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলতে চেয়েছেন।আমারও ভালো লাগছে এমন একজন শিল্পীকে আমাদের মাঝে পেয়ে।’

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি কলকাতায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি আর কখনও বাংলাদেশে আসেননি। অঞ্জু ঘোষ ১৯৭২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। নির্মাতা এফ কবির চৌধুরীর হাত ধরে ১৯৮২ সালে ‘সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আগমন ঘটে তার। এরপর ১৯৮৯ সালে ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ তাঁকে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। ঢালিউডে প্রায় ৫০টি ছবির অভিনেত্রী তিনি।

বাংলাদেশে তার উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বড় ভালো লোক ছিলো’, ‘আবে হায়াত’, ‘প্রাণ সজনী’, ‘ধন দৌলত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রক্তের বন্দি’, ‘আওলাদ’, ‘চন্দনা ডাকু’, ‘মর্যাদা’, ‘নিয়ত’, ‘দায়ী কে’, ‘কুসুমপুরের কদম আলী’, ‘অবরোধ’, ‘শিকার’, ‘রঙ্গিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘চোর ডাকাত পুলিশ’, ‘শঙ্খমালা’, ‘আদেশ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘এই নিয়ে সংসার’, ‘গাড়ীয়াল ভাই’, ‘প্রেম যমুনা’ ইত্যাদি।