ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হয় না

দেশে এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হয় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। আজ বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো কসমেটিকস পণ্য নেই যা নকল হয় না। মোড়কজাত এসব পণ্য যখন বাংলাদেশে আসে, তখন অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয়। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে পণ্যতে আমদানিকারকের তথ্য থাকতে হবে। কিন্তু আপনারা দেখবেন বেশিরভাগ পণ্যতে আমদানির তথ্য থাকে না। এতে প্রমাণিত হয় এ কসমেটিকসগুলো আমদানির প্রোপার চ্যানেলে আসছে না। এগুলো অবৈধ পণ্য।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, ‘অবৈভাবে কসমেটিকস আনায় এসব পণ্যের কাস্টম তার শুল্ক পাচ্ছে না। এছাড়া এসব পণ্যতে কী কী উপাদান আছে সেগুলো এবং উৎপাদনকারী দেশের নামও থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে যেভাবে ভুয়া পণ্য তৈরি হচ্ছে তা বিরল। খোলা ড্রামে রং গুলিয়ে সেখানে তৈরি হচ্ছে সাবান-শ্যাম্পুসহ নানা ধরনের প্রসাধনী। এটা বন্ধ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এগুলো একটা ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিয়েছে।’ এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে যদি ভুয়া পণ্যতে সয়লাব হয়, তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে৷ ভুয়া পণ্য ব্যবহার করে অনেকের ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। এ চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে আমরা আশা করছি যে, ভুয়া পণ্য কিছুটা কমবে এবং উন্নত প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের পণ্য। ফলে বাংলাদেশের আমদানি নির্ভরতা কমবে। এ ছাড়া আমাদের কিছু বেকার সমস্যার সমাধান হবে৷ অদূর ভবিষ্যৎতে বাংলাদেশ এসব পণ্য রপ্তানির সুযোগ আসবে। ত্বকের ক্যানসারসহ নানামুখী সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে। আমাদের কিছু পণ্য ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডে রপ্তানিও হচ্ছে।’

অনুষ্ঠান প্রসাধনী কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আপনারা জানেন নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। নকল ও ভেজাল কসমেটিকস ব্যবহার করে মানুষ স্কিন ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেক্ষেত্রে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থানে থাকার ঘোষণা দিতে চাই।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হয় না

আপডেট টাইম : ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

দেশে এমন কোনো কসমেটিকস নেই যা নকল হয় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। আজ বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো কসমেটিকস পণ্য নেই যা নকল হয় না। মোড়কজাত এসব পণ্য যখন বাংলাদেশে আসে, তখন অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয়। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে পণ্যতে আমদানিকারকের তথ্য থাকতে হবে। কিন্তু আপনারা দেখবেন বেশিরভাগ পণ্যতে আমদানির তথ্য থাকে না। এতে প্রমাণিত হয় এ কসমেটিকসগুলো আমদানির প্রোপার চ্যানেলে আসছে না। এগুলো অবৈধ পণ্য।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, ‘অবৈভাবে কসমেটিকস আনায় এসব পণ্যের কাস্টম তার শুল্ক পাচ্ছে না। এছাড়া এসব পণ্যতে কী কী উপাদান আছে সেগুলো এবং উৎপাদনকারী দেশের নামও থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে যেভাবে ভুয়া পণ্য তৈরি হচ্ছে তা বিরল। খোলা ড্রামে রং গুলিয়ে সেখানে তৈরি হচ্ছে সাবান-শ্যাম্পুসহ নানা ধরনের প্রসাধনী। এটা বন্ধ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এগুলো একটা ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিয়েছে।’ এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে যদি ভুয়া পণ্যতে সয়লাব হয়, তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে৷ ভুয়া পণ্য ব্যবহার করে অনেকের ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। এ চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে আমরা আশা করছি যে, ভুয়া পণ্য কিছুটা কমবে এবং উন্নত প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের পণ্য। ফলে বাংলাদেশের আমদানি নির্ভরতা কমবে। এ ছাড়া আমাদের কিছু বেকার সমস্যার সমাধান হবে৷ অদূর ভবিষ্যৎতে বাংলাদেশ এসব পণ্য রপ্তানির সুযোগ আসবে। ত্বকের ক্যানসারসহ নানামুখী সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে। আমাদের কিছু পণ্য ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডে রপ্তানিও হচ্ছে।’

অনুষ্ঠান প্রসাধনী কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আপনারা জানেন নকল ও ভেজাল কসমেটিকসে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। নকল ও ভেজাল কসমেটিকস ব্যবহার করে মানুষ স্কিন ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেক্ষেত্রে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থানে থাকার ঘোষণা দিতে চাই।’