ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে : আইজিপি

তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের অপকর্মের বিচার করবো, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিষিদ্ধের পর তারা মিছিল করার চেষ্টা করেছিল। সেখানে পুলিশের অ্যাকশন আপনারা দেখেছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে আইজিপি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী ও আহত বীরদের সম্মানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, গত ১৫ বছরে যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ছিল না, তারা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছিলেন এবং এই অস্ত্র গণ-অভ্যুত্থানে নিরীহ জনগণের বুকে ব্যবহার করা হয়। বিগত সরকারের ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এই অস্ত্রে অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হয়েছেন। অনেকে দীর্ঘস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। এ মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের আগে নেতৃত্ব পর্যায়ের গুটিকয়েক বিপথগামী কর্মকর্তার কারণে পুলিশ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আইজিপি। তিনি বলেন, এখন আমরা জনগণের আস্থার পুলিশ তৈরি করতে চাই। পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে ধারাবাহিকভাবে বদলি করা হচ্ছে। এই পদে যারা যোগ্য তাদের আনা হচ্ছে।

ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারেনি। পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। করোনার সময় পুলিশের মানবিক কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু সেই পুলিশ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনে মানবিক জায়গা হারিয়েছে। কিছু নেতৃত্ব প্রদানকারী কর্মকর্তাদের কারণে পুলিশ মানুষের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পুলিশ গঠন করতে চাই। এ লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন কাজ করছে। পুলিশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে।

আইজিপি আরও বলেন, পুলিশের তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবে। পুলিশের মধ্যে কেউ যদি রাজনীতি করতে চান, ব্যবসা করতে চান, বাণিজ্য করতে চান—তাহলে পুলিশের পেশা বাদ দিন। বিগত সময়ে পুলিশ নিয়োগে বেআইনি চর্চা শুরু হয়েছিল। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্তানি করবে এবং এক পর্যায়ে তারা বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ও পুলিশে কাজ করেছে। এতে করে পুলিশ, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন করতে না পারলে ভালো প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমি পুলিশকে বলতে চাই, আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাধ্যমে ব্যবহার হবেন না, আর রাজনীতিবীদদের বলতে চাই, আপনারা দলীয় কাজে পুলিশকে ব্যবহার করবেন না।

ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো পরিবর্তন সূচনা হয়েছে। ব্যাপকহারে কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, শাস্তি  স্বরূপ বদলি কেন। বদলি হলো শাস্তি প্রদানের প্রাথমিক ধাপ। এরপর তদন্তের মাধ্যমে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক জেলা ও বিভাগে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, এসপি, ওসিসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের বদলি করেছি। সেই সঙ্গে যোগ্য ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে।

আবু সাঈদসহ অন্যান্য মামলার বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা আহত-নিহতের ঘটনার দায়ের করা মামলাগুলো আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আবু সাঈদের মামলাটি পিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। এ মামলায় দুই পুলিশসহ ২১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতা আহত-নিহতের মামলাগুলো থানাসহ কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও অনেক মামলার বিচার হবে। সেখানে অনেক অভিজ্ঞরা মামলার তদন্ত করছেন। এ ছাড়া আমরা সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে আসামিদের তথ্য চাই। তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ছাত্র-জনতার নামে মামলা হবে না। পুলিশ কোনো মামলা রেকর্ড করলে তা দু-এক দিনের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবে। এ নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতার কোনো ভয় নেই।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুরের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আজমল হোসেন, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বাসুদেব বণিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন, সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম, রংপুরের সমন্বয়ক ডা. জামিল হোসেন, ইমরান আহমেদ, আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলালসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।

সুধী সমাবেশ শেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে আইজিপি ময়নুল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে : আইজিপি

আপডেট টাইম : ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের অপকর্মের বিচার করবো, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিষিদ্ধের পর তারা মিছিল করার চেষ্টা করেছিল। সেখানে পুলিশের অ্যাকশন আপনারা দেখেছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে আইজিপি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী ও আহত বীরদের সম্মানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, গত ১৫ বছরে যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ছিল না, তারা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছিলেন এবং এই অস্ত্র গণ-অভ্যুত্থানে নিরীহ জনগণের বুকে ব্যবহার করা হয়। বিগত সরকারের ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এই অস্ত্রে অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হয়েছেন। অনেকে দীর্ঘস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। এ মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের আগে নেতৃত্ব পর্যায়ের গুটিকয়েক বিপথগামী কর্মকর্তার কারণে পুলিশ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আইজিপি। তিনি বলেন, এখন আমরা জনগণের আস্থার পুলিশ তৈরি করতে চাই। পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে ধারাবাহিকভাবে বদলি করা হচ্ছে। এই পদে যারা যোগ্য তাদের আনা হচ্ছে।

ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারেনি। পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। করোনার সময় পুলিশের মানবিক কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু সেই পুলিশ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনে মানবিক জায়গা হারিয়েছে। কিছু নেতৃত্ব প্রদানকারী কর্মকর্তাদের কারণে পুলিশ মানুষের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পুলিশ গঠন করতে চাই। এ লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন কাজ করছে। পুলিশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে।

আইজিপি আরও বলেন, পুলিশের তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবে। পুলিশের মধ্যে কেউ যদি রাজনীতি করতে চান, ব্যবসা করতে চান, বাণিজ্য করতে চান—তাহলে পুলিশের পেশা বাদ দিন। বিগত সময়ে পুলিশ নিয়োগে বেআইনি চর্চা শুরু হয়েছিল। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্তানি করবে এবং এক পর্যায়ে তারা বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ও পুলিশে কাজ করেছে। এতে করে পুলিশ, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন করতে না পারলে ভালো প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমি পুলিশকে বলতে চাই, আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাধ্যমে ব্যবহার হবেন না, আর রাজনীতিবীদদের বলতে চাই, আপনারা দলীয় কাজে পুলিশকে ব্যবহার করবেন না।

ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো পরিবর্তন সূচনা হয়েছে। ব্যাপকহারে কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, শাস্তি  স্বরূপ বদলি কেন। বদলি হলো শাস্তি প্রদানের প্রাথমিক ধাপ। এরপর তদন্তের মাধ্যমে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক জেলা ও বিভাগে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, এসপি, ওসিসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের বদলি করেছি। সেই সঙ্গে যোগ্য ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে।

আবু সাঈদসহ অন্যান্য মামলার বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা আহত-নিহতের ঘটনার দায়ের করা মামলাগুলো আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আবু সাঈদের মামলাটি পিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। এ মামলায় দুই পুলিশসহ ২১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতা আহত-নিহতের মামলাগুলো থানাসহ কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও অনেক মামলার বিচার হবে। সেখানে অনেক অভিজ্ঞরা মামলার তদন্ত করছেন। এ ছাড়া আমরা সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে আসামিদের তথ্য চাই। তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ছাত্র-জনতার নামে মামলা হবে না। পুলিশ কোনো মামলা রেকর্ড করলে তা দু-এক দিনের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবে। এ নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতার কোনো ভয় নেই।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুরের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আজমল হোসেন, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বাসুদেব বণিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন, সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম, রংপুরের সমন্বয়ক ডা. জামিল হোসেন, ইমরান আহমেদ, আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলালসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।

সুধী সমাবেশ শেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত-নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে আইজিপি ময়নুল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।