ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেলি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। আইটিইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ১৭ মে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশাল ডাটা ভান্ডারকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার করে আর্থসামাজিক কর্মকান্ডের সকল ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সমাজ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির প্রতিপাদ্য ’বিগ ডাটা ফর বিগ ইমপেক্ট’ যথার্থ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আইটিইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে উদযাপিত হচ্ছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগে তথ্য ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার। কর্মক্ষেত্র কিংবা দৈনন্দিন জীবনে মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। আবদুল হামিদ বলেন, বেতার যন্ত্র, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, মোবাইল, ইন্টারনেট, অন-লাইন সেবা, বিমান কিংবা জাহাজে ভ্রমণ সর্বত্রই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্রুত সেবা দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্তার এ-খাতের গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল বাংলাদেশের সব অঞ্চলের জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছে, যা ইতোমধ্যে অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বদৌলতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মৌলিক নাগরিক সেবা এখন ঘরে বসেই পাচ্ছেন। এর ফলে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হচ্ছে। তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল ডাটার আয়তন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টেলি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। আইটিইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ১৭ মে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশাল ডাটা ভান্ডারকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার করে আর্থসামাজিক কর্মকান্ডের সকল ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সমাজ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির প্রতিপাদ্য ’বিগ ডাটা ফর বিগ ইমপেক্ট’ যথার্থ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আইটিইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে উদযাপিত হচ্ছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগে তথ্য ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার। কর্মক্ষেত্র কিংবা দৈনন্দিন জীবনে মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। আবদুল হামিদ বলেন, বেতার যন্ত্র, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, মোবাইল, ইন্টারনেট, অন-লাইন সেবা, বিমান কিংবা জাহাজে ভ্রমণ সর্বত্রই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্রুত সেবা দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্তার এ-খাতের গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল বাংলাদেশের সব অঞ্চলের জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছে, যা ইতোমধ্যে অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বদৌলতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মৌলিক নাগরিক সেবা এখন ঘরে বসেই পাচ্ছেন। এর ফলে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হচ্ছে। তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল ডাটার আয়তন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।