ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকারের সঙ্গে শিরীন শারমিন চৌধুরীর বৈঠক

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ও ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দি কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্ট্যাট এর চেয়ারপারসন ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো এর সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গের তাভরিস্কি প্যালেসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককালে তারা দুই দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা পূরণে রাশিয়ার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

ড. চৌধুরী বলেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্র বর্তমানে অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার ও উত্তোলনে রাশিয়ার সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ার শিক্ষা বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধিরও আহবান জানান। তিনি দুদেশের সংসদীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য সংসদীয় প্রতিনিধি বিনিময়ের উপরও গুরত্বারোপ করেন।

shirin

স্পিকার বাংলাদেশের এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উল্লেখ করে বলেন,  ভবিষ্যতে এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন।

রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার  ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো রাশিয়া সফরের জন্য এবং পর পর দুবার বাংলাদেশের স্পিকার  নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

রাশিয়ার স্পিকার বলেন,  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের আর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি গত ডিসেম্বরে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

রাশিয়ার স্পিকার রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন,  পুর্বের তুলনায় তা বর্তমানে ৬১ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থির দিক থেকে তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। তিনি গ্যাস উত্তোলন ও তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রাশিয়ার আরো বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সফরের উপর গুরুত্বরোপ  করেন।

রাশিয়ার স্পিকার বলেন, নারী ও তরুণদের উন্নয়নে দুই দেশের চ্যালেঞ্জগুলো একই। তিনি দুদেশের সংসদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়গুলো তুলে ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকারের সঙ্গে শিরীন শারমিন চৌধুরীর বৈঠক

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ও ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দি কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্ট্যাট এর চেয়ারপারসন ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো এর সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গের তাভরিস্কি প্যালেসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককালে তারা দুই দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা পূরণে রাশিয়ার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

ড. চৌধুরী বলেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্র বর্তমানে অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার ও উত্তোলনে রাশিয়ার সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ার শিক্ষা বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধিরও আহবান জানান। তিনি দুদেশের সংসদীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য সংসদীয় প্রতিনিধি বিনিময়ের উপরও গুরত্বারোপ করেন।

shirin

স্পিকার বাংলাদেশের এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উল্লেখ করে বলেন,  ভবিষ্যতে এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন।

রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার  ভ্যালেনটিনা ম্যাটভিয়েনকো রাশিয়া সফরের জন্য এবং পর পর দুবার বাংলাদেশের স্পিকার  নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

রাশিয়ার স্পিকার বলেন,  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের আর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি গত ডিসেম্বরে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

রাশিয়ার স্পিকার রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন,  পুর্বের তুলনায় তা বর্তমানে ৬১ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থির দিক থেকে তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। তিনি গ্যাস উত্তোলন ও তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রাশিয়ার আরো বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সফরের উপর গুরুত্বরোপ  করেন।

রাশিয়ার স্পিকার বলেন, নারী ও তরুণদের উন্নয়নে দুই দেশের চ্যালেঞ্জগুলো একই। তিনি দুদেশের সংসদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়গুলো তুলে ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।