ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে দেশের জনগণেরই ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখানে তো জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে। কারণ, এরা (সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদীরা) তো কোনো দিনই দেশে ভালো কিছু করতে পারেনি।

বিগত বছরগুলো গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকা এবং স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ দমন করে দীর্ঘসময় একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। সেই জায়গাটায় আজকে চরম একটা আঘাত দিল।

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ডসের উদ্যোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও হেড অব নিউজ এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ, পোশাক তৈরি করা হলো কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট; ফলস (ভুয়া) আইডি কার্ড, পেছনে ব্যাগের মধ্যে কী আছে? পাথর আর ধারালো অস্ত্র। মসজিদে অস্ত্র নিয়ে ইমামকে মাইকিং করতে বাধ্য করা, এই যে জঙ্গিবাদের একটা বিভৎস চেহারা আজকে সবার সামনে চলে আসল, এটার বিরুদ্ধে জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করব- যারা দেশের এই ধরনের সর্বনাশ করল, গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য, তাদের আয় বৃদ্ধি, তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য, তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য যতগুলো স্থাপনা তৈরি করেছি- সবগুলোতেই তারা আঘাত করেছে, সবগুলো তারা ভেঙে দিয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির কথা উল্লে­খ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তার পূর্বানুমানের কথা জানিয়ে বলেন, আমি জানতাম যে ইলেকশন করতে দিবে না। তারপরেও আমরা ইলেকশন করে ফেলেছি। ইলেকশন করার পর বলা হলো, গ্রহণযোগ্য হবে না, সেটাও গ্রহণযোগ্য আমরা করতে পেরেছি। সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আবার আসবে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনেক বড় ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা যে একটা বিরাট চক্রান্ত সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এই যে লোক চলে আসা, এবার আমরা কিন্তু আগে থেকে খবর পেয়েছি লোক ঢুকবে। কোথায় থাকতে পারে সেগুলো কিন্তু নজরদারিতে আনা হয়েছে। কিন্তু ওরা সেখানে ছিল না। এরা চলে এসেছে ঢাকার ঠিক বাইরের পেরিফেরিতে (সংলগ্ন এলাকায়)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে শিবির-জামায়াত এরা কিন্তু এসেছে। একই সঙ্গে ছাত্রদলের ক্যাডাররাও কিন্তু সক্রিয় ছিল। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে এরাও (বিএনপি) কিন্তু সক্রিয় ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন তখনও কিন্তু লাশ পড়েনি। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের (যুক্তরাষ্ট্রের) বক্তব্যে এসে গেল যে লাশ পড়েছে। তো লাশের খবর তাদের কে দিল? তাহলে লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিয়েছে? এটাও খবর নেওয়া দরকার। তারপরে কিন্তু লাশ পড়তে শুরু করল। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুর্যোগ ভবন, সেতু ভবন, বিআরটিএ, ডাটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কারফিউ দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো চাইনি আমাদের গণতান্ত্রিক ধারায় এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটুক, আমাদের কারফিউ দিতে হোক। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা আসুক এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু আজকে না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না। না দিলে আরও যে কত লাশ পড়ত তার হিসাব নেই। তিনি বলেন, সত্যিকথা বলতে কি দীর্ঘ সংগ্রামের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল, দেশে উন্নতিও করতে পেরেছিলাম। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছি আর কে পেরেছে এর আগে?

গণমাধ্যমগুলোকে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা ঠিক অনেকে গুজবে কান দেয়। কান নিয়ে গেছে চিলে, ওটার পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখল না কান আছে কি না। মিথ্যাচারের হাত দেখে মানুষকে রক্ষা করেন, মানুষ যাতে সঠিত তথ্য জানতে পারে সেভাবে সংবাদগুলো পরিবেশন করুন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি এর সুফলও মানুষ পেল, কুফলও মানুষ পেল। আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে আপনারা তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে জনমত সৃষ্টি করুন।

মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডসের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু। বক্তব্য দেন- সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টেলিভিশনের হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সর্দার, ডিবিসি টেলিভিশনের নিউজ এডিটর জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ আশিষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ার-এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত এবং আরটিভির হেড অব নিউজ মামুনুর রহমান খান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে দেশের জনগণেরই ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখানে তো জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে। কারণ, এরা (সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদীরা) তো কোনো দিনই দেশে ভালো কিছু করতে পারেনি।

বিগত বছরগুলো গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকা এবং স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ দমন করে দীর্ঘসময় একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। সেই জায়গাটায় আজকে চরম একটা আঘাত দিল।

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ডসের উদ্যোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও হেড অব নিউজ এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ, পোশাক তৈরি করা হলো কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট; ফলস (ভুয়া) আইডি কার্ড, পেছনে ব্যাগের মধ্যে কী আছে? পাথর আর ধারালো অস্ত্র। মসজিদে অস্ত্র নিয়ে ইমামকে মাইকিং করতে বাধ্য করা, এই যে জঙ্গিবাদের একটা বিভৎস চেহারা আজকে সবার সামনে চলে আসল, এটার বিরুদ্ধে জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করব- যারা দেশের এই ধরনের সর্বনাশ করল, গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য, তাদের আয় বৃদ্ধি, তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য, তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য যতগুলো স্থাপনা তৈরি করেছি- সবগুলোতেই তারা আঘাত করেছে, সবগুলো তারা ভেঙে দিয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির কথা উল্লে­খ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তার পূর্বানুমানের কথা জানিয়ে বলেন, আমি জানতাম যে ইলেকশন করতে দিবে না। তারপরেও আমরা ইলেকশন করে ফেলেছি। ইলেকশন করার পর বলা হলো, গ্রহণযোগ্য হবে না, সেটাও গ্রহণযোগ্য আমরা করতে পেরেছি। সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আবার আসবে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনেক বড় ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা যে একটা বিরাট চক্রান্ত সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। এই যে লোক চলে আসা, এবার আমরা কিন্তু আগে থেকে খবর পেয়েছি লোক ঢুকবে। কোথায় থাকতে পারে সেগুলো কিন্তু নজরদারিতে আনা হয়েছে। কিন্তু ওরা সেখানে ছিল না। এরা চলে এসেছে ঢাকার ঠিক বাইরের পেরিফেরিতে (সংলগ্ন এলাকায়)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে শিবির-জামায়াত এরা কিন্তু এসেছে। একই সঙ্গে ছাত্রদলের ক্যাডাররাও কিন্তু সক্রিয় ছিল। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে এরাও (বিএনপি) কিন্তু সক্রিয় ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন তখনও কিন্তু লাশ পড়েনি। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের (যুক্তরাষ্ট্রের) বক্তব্যে এসে গেল যে লাশ পড়েছে। তো লাশের খবর তাদের কে দিল? তাহলে লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিয়েছে? এটাও খবর নেওয়া দরকার। তারপরে কিন্তু লাশ পড়তে শুরু করল। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুর্যোগ ভবন, সেতু ভবন, বিআরটিএ, ডাটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কারফিউ দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো চাইনি আমাদের গণতান্ত্রিক ধারায় এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটুক, আমাদের কারফিউ দিতে হোক। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা আসুক এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু আজকে না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না। না দিলে আরও যে কত লাশ পড়ত তার হিসাব নেই। তিনি বলেন, সত্যিকথা বলতে কি দীর্ঘ সংগ্রামের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল, দেশে উন্নতিও করতে পেরেছিলাম। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছি আর কে পেরেছে এর আগে?

গণমাধ্যমগুলোকে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা ঠিক অনেকে গুজবে কান দেয়। কান নিয়ে গেছে চিলে, ওটার পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখল না কান আছে কি না। মিথ্যাচারের হাত দেখে মানুষকে রক্ষা করেন, মানুষ যাতে সঠিত তথ্য জানতে পারে সেভাবে সংবাদগুলো পরিবেশন করুন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি এর সুফলও মানুষ পেল, কুফলও মানুষ পেল। আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে আপনারা তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে জনমত সৃষ্টি করুন।

মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডসের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু। বক্তব্য দেন- সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টেলিভিশনের হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সর্দার, ডিবিসি টেলিভিশনের নিউজ এডিটর জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ আশিষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ার-এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত এবং আরটিভির হেড অব নিউজ মামুনুর রহমান খান।