সমাজ থেকেই পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার করতে হবে। সমাজ বদলালে রাষ্ট্র বদলাবে। সমাজের সবার কথা রাষ্ট্রকে শুনতে হবে। দেশের প্রতিটি জনগণকে নাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা এবং একসঙ্গে চলার কর্মপন্থা তৈরি করতে হবে। সমাজ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার শুরু করতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘আগামীর বাংলাদেশ জনগণের ক্ষমতায়ন ও কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি এ্যানালাইসিস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি (সিপিএএ)।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাফিউল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করনে সিপিএএ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. শরীফুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইকতেদার আহমেদ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সুলতানা রাজিয়া, সিঙ্গাপুর নানইয়াঙ টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সাইদুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ, গাম্বিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভারসিটির অধ্যাপক আফরোজা বুলবুল, ব্র্যাক ইনস্টিটিউিট অব গভরনেন্সের ড. মির্জা হাসান, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর শাহ বুলবুল ইসলাম, ইউকে ওপেন ইউনিভার্সিটির ড. নাবিলা ইদ্রিস, সাংবাদিক আসজাদুল কিবরিয়া, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তবিদ ড. মীর মানজুর মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আলী আহসান জুনায়েদ প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের ফসল হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেড় দশকের আন্দোলনের ফলে এই গণআন্দোলন জুলাই-আগস্ট মাসে সফল গণঅভ্যুত্থানে পূর্ণতা পেয়েছে।
বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের একটি করিডোরের ভেতরে ঢুকাতে হবে। সেখানে রাষ্ট্র এবং সামাজিক অবস্থান মিলে তাদেরকে চাপের মুখে রাখতে হবে। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার থাকতে হবে পারমানেন্ট বেস। মানুষ ভালো হবে বলে কোনোদিন মনে হয় না। এটা মানুষের দোষ না। তাকে যুগোপযোগী আইনি কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সংবিধান সংস্কার ও বিচার ব্যবস্থাকে রক্ষা করাসহ সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।