ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যবিপ্রবির বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ল্যাব সহকারী মনিরুজ্জামান।

আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

লিখিত অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে মনিরামপুরগামী বাসে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পেছনের সিটে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান জানালার পাশের ফাঁকা জায়গা থেকে ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকালে তার সহপাঠীদের জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিরামপুরগামী বাস ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বাস থেকে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে নিচে নামান।

এ সময় তার সহপাঠী শিক্ষার্থীরা তাকে (মনিরুজ্জামান) চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যবিপ্রবির বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ল্যাব সহকারী মনিরুজ্জামান।

আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

লিখিত অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে মনিরামপুরগামী বাসে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পেছনের সিটে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান জানালার পাশের ফাঁকা জায়গা থেকে ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকালে তার সহপাঠীদের জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিরামপুরগামী বাস ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বাস থেকে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে নিচে নামান।

এ সময় তার সহপাঠী শিক্ষার্থীরা তাকে (মনিরুজ্জামান) চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।