ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত হজ ফ্লাইটের সমস্যার সমাধান না হলে জটিলতা বাড়বে : রাশেদ খান মেনন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভিসা ও অন্যান্য কারণে হজ ফ্লাইটের জটিলতা দুই-একদিনের মধ্যে সমাধান না করা হলে জটিলতা বাড়বে। এ কথা বলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন । বুধবার (০২ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিমান পরিকল্পনার সময় এই লস হতে পারে ধারণা করে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজ কালকের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে। আমরা চাই না কোনো ধরনের সমস্যা-সংকট সৃষ্টি হোক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) ভিসা জটিলতায় এখন পর্যন্ত ১২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স। বাতিল এই ফ্লাইটগুলোতে চার হাজারের বেশি যাত্রী যেতে পারতেন। একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ জরুরি সভা ডেকেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অন্যদিকে ফ্লাইট বাতিল সম্পর্কে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা শাকিল মেরাজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভিসা সমস্যার কারণেই মূলত যাত্রী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এজন্য ২ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ১২টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫-১৬ সালে যারা হজ পালন করে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে হঠাত্ করে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল দিতে বলেছে সৌদি আরব, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই জটিলতা। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন তসলিম জানান, যারা সেই টাকা পরিশোধ করে তার রসিদ জমা করছেন না, তাদের ভিসা দিচ্ছে না সৌদি দূতাবাস। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ২৮ হাজার জন; তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার জনের মতো ব্যক্তিকে ফের হজ করতে যাওয়ায় ২ হাজার রিয়াল (৪৪ হাজার টাকা) দিতে হবে। কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে আরও অনেকের ওপর। তসলিম বলেন, এক পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে যখন হজে যেতে চাইছেন, তখন একজনের জটিলতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত অন্যরা যেতে চাইছেন না। ভিসার জন্য বাড়তি এ অর্থ হজ এজেন্সিগুলো দিতে চাইছে না; ফলে হজযাত্রীদের সঙ্গে তাদের এটা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি, তারা যেন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবাইকে জানিয়ে দেন যে, এই টাকা যাত্রীকে বহন করতে হবে। হজ এজেন্সিগুলো শুধু ২ হাজার রিয়ালই নয়, আরও বেশি অর্থ অন্যদের কাছেও চাইছে বলে অভিযোগ এসেছে হজযাত্রীদের কাছ থেকে। এ পর্যন্ত ৪২ হাজার হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে এবং প্রায় ২৪ হাজার জন রওনা হয়ে গেছেন বলে হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত হজ ফ্লাইট চলবে। চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৪ জুলাই। তা শেষ হবে ২৬ আগস্ট। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ অক্টোবর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সমান অনুপাতে হজযাত্রী পরিবহন করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দ্রুত হজ ফ্লাইটের সমস্যার সমাধান না হলে জটিলতা বাড়বে : রাশেদ খান মেনন

আপডেট টাইম : ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ভিসা ও অন্যান্য কারণে হজ ফ্লাইটের জটিলতা দুই-একদিনের মধ্যে সমাধান না করা হলে জটিলতা বাড়বে। এ কথা বলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন । বুধবার (০২ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিমান পরিকল্পনার সময় এই লস হতে পারে ধারণা করে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজ কালকের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে। আমরা চাই না কোনো ধরনের সমস্যা-সংকট সৃষ্টি হোক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) ভিসা জটিলতায় এখন পর্যন্ত ১২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স। বাতিল এই ফ্লাইটগুলোতে চার হাজারের বেশি যাত্রী যেতে পারতেন। একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ জরুরি সভা ডেকেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। অন্যদিকে ফ্লাইট বাতিল সম্পর্কে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা শাকিল মেরাজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভিসা সমস্যার কারণেই মূলত যাত্রী সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এজন্য ২ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ১২টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫-১৬ সালে যারা হজ পালন করে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে হঠাত্ করে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল দিতে বলেছে সৌদি আরব, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই জটিলতা। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন তসলিম জানান, যারা সেই টাকা পরিশোধ করে তার রসিদ জমা করছেন না, তাদের ভিসা দিচ্ছে না সৌদি দূতাবাস। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ২৮ হাজার জন; তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার জনের মতো ব্যক্তিকে ফের হজ করতে যাওয়ায় ২ হাজার রিয়াল (৪৪ হাজার টাকা) দিতে হবে। কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে আরও অনেকের ওপর। তসলিম বলেন, এক পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে যখন হজে যেতে চাইছেন, তখন একজনের জটিলতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত অন্যরা যেতে চাইছেন না। ভিসার জন্য বাড়তি এ অর্থ হজ এজেন্সিগুলো দিতে চাইছে না; ফলে হজযাত্রীদের সঙ্গে তাদের এটা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি, তারা যেন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবাইকে জানিয়ে দেন যে, এই টাকা যাত্রীকে বহন করতে হবে। হজ এজেন্সিগুলো শুধু ২ হাজার রিয়ালই নয়, আরও বেশি অর্থ অন্যদের কাছেও চাইছে বলে অভিযোগ এসেছে হজযাত্রীদের কাছ থেকে। এ পর্যন্ত ৪২ হাজার হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে এবং প্রায় ২৪ হাজার জন রওনা হয়ে গেছেন বলে হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত হজ ফ্লাইট চলবে। চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৪ জুলাই। তা শেষ হবে ২৬ আগস্ট। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ অক্টোবর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সমান অনুপাতে হজযাত্রী পরিবহন করবে।