ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রতিবেদন তৈরি হয়নি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি নির্ধারিত তিন মাস পার করছে। তবে এ সময়সীমার মধ্যে সুপারিশমালা তৈরি করতে পারেনি কমিটি। এই কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় নেবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের ‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করে গত ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবন-যাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে বলে কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে। কমিটিকে ৯০দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছিল।

কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম মঙ্গলবার বলেন, কমিটির সদস্যদের নাম পেতে সময় লেগেছে। কাজও দেরিতে শুরু করেছি। প্রতিবেদন তৈরি করতে আরও সময় লাগবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি কমিটিতে রাখা হয়েছিল।

বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, সরকার যে সময় দিয়েছে সেই সময়ের মধ্যে পারবো না। আরও সময় চাইবো। এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে অর্থ বিভাগ।

এরআগে গত ১২ মার্চ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে সভাপতিত্বে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে এক বৈঠকে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ভবিষ্যতে আর বেতন কমিশন না করে ধাপে ধাপে বৃদ্ধির জন্য সর্বশেষ কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরে আমরা একটি বেতন স্কেল দিয়েছি। যার ফলে ওই রকম কমিশন আর পাঁচ বছর পর পর হবে না। এখন নরমালি বৃদ্ধি পাবে।

সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা মূল ধরে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা, যাতে বেতন বেড়েছে গ্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ। ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

২০১৬ সালের জুলাই থেকে এই বেতন কাঠামো অনুযায়ী মূল বেতনের সঙ্গে সব ধরনের ভাতা কার্যকর হয়। তবে মূল্য স্ফীতির কারণে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট আর বাস্তবায়িত হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রতিবেদন তৈরি হয়নি

আপডেট টাইম : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি নির্ধারিত তিন মাস পার করছে। তবে এ সময়সীমার মধ্যে সুপারিশমালা তৈরি করতে পারেনি কমিটি। এই কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় নেবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের ‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যত বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করে গত ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবন-যাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে বলে কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে। কমিটিকে ৯০দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছিল।

কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম মঙ্গলবার বলেন, কমিটির সদস্যদের নাম পেতে সময় লেগেছে। কাজও দেরিতে শুরু করেছি। প্রতিবেদন তৈরি করতে আরও সময় লাগবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি কমিটিতে রাখা হয়েছিল।

বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, সরকার যে সময় দিয়েছে সেই সময়ের মধ্যে পারবো না। আরও সময় চাইবো। এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে অর্থ বিভাগ।

এরআগে গত ১২ মার্চ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে সভাপতিত্বে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে এক বৈঠকে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ভবিষ্যতে আর বেতন কমিশন না করে ধাপে ধাপে বৃদ্ধির জন্য সর্বশেষ কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরে আমরা একটি বেতন স্কেল দিয়েছি। যার ফলে ওই রকম কমিশন আর পাঁচ বছর পর পর হবে না। এখন নরমালি বৃদ্ধি পাবে।

সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা মূল ধরে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা, যাতে বেতন বেড়েছে গ্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ। ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

২০১৬ সালের জুলাই থেকে এই বেতন কাঠামো অনুযায়ী মূল বেতনের সঙ্গে সব ধরনের ভাতা কার্যকর হয়। তবে মূল্য স্ফীতির কারণে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট আর বাস্তবায়িত হয়নি।