ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মুরগির খামার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একদিনের মুরগির বাচ্চা ও ফিড মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ধস নেমেছে পোলট্রি শিল্পে। রংপুরে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এ শিল্প। পোলট্রি শিল্প বাঁচলে, আমিষ ও পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে, বেকার সমস্যার সমাধান হবে। এক কথায় পোলট্রি শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে। গতকাল রংপুরে খামারিরা আক্ষেপের সুরে মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তারা বলেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে পোলট্রি শিল্পের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। সরকার এ শিল্পের দিকে দৃষ্টি না দিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে না। রংপুর পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান লিংকন জানান, ৮০’র দশকে রংপুরে মৃত আবুল ফজল টুনু চৌধুরী প্রথম বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মুরগির খামার। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জাতের মুরগি এনে এ খামার গড়ে তুললে তাকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হয়। এরপর ভিআইপি শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মুরগির খামার। প্রথম দিকে মুরগির মাংস ও ডিম বাজারজাতকরণ কঠিন থাকলেও ধীরে ধীরে সহজ হওয়ায় এ শিল্প প্রসারিত হয়। কৃষি অঞ্চলভিত্তিক এ অঞ্চলে অনেক বেকার শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলে মুরগির খামার। এক পর্যায়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় গড়ে উঠে লেয়ার, ব্রয়লারের ৭ হাজার ২২৮ খামার। প্রতিটি খামারে প্রকারভেদে ৫ জন থেকে ৫০ জন পর্যন্ত কাজ করছে।  এসব খামার হতে উৎপাদিত ডিম ও মুরগির মাংস উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে। পাশাপাশি মুরগির বিষ্ঠার মাধ্যমে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন, খামারিদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে। প্রতি খামারে কাজের সুযোগ হয়েছে হাজারো বেকারের। এর মধ্যে রংপুর জেলায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২ শ’ খামার। লিংকন তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ২০০৭ সালের ১০ই অক্টোবর দৈনিক মানবজমিন-এ রংপুরে সফল খামারি লিংকন শিরোনামে তার সফলতার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, কলেজের শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিএ পাস করে বাবার সংসারে বোঝা না হয়ে ১৮ মুরগি নিয়ে ২০০০ সালে বাহার কাছনা এলাকায় গড়ে তোলেন মুরগির খামার। এরপর কর্মসংস্থান ব্যাংকে দৌড়-ঝাঁপ করে ৪০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে বড় আকারে মুরগির খামার করেন। পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার কারণে স্বল্প সময়ে সে ২ হাজার মুরগির খামার, বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরিসহ লাখ লাখ টাকার মালিক হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ সংবাদ যৌথবাহিনীর নজরে আসে। যৌথবাহিনীর কমান্ডার লে. কর্নেল কায়সার মানবজমিন রিপোর্টারকে নিয়ে আমার এ খামার পরির্দশন করে সন্তোষ প্রকাশসহ ওই রিপোর্টারকে নেগেটিভ রিপোর্টের ভিড়ে চমৎকার পজেটিভ রিপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আমাকে পুরস্কৃত করেন। যা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। সেই সময় পোলট্রি শিল্পের জন্য ছিল স্বর্ণালী যুগ। ২০০৮ সাল থেকে বার্ড ফ্লু নামক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এ শিল্পে ধস নামা শুরু হয়। সেই সময় লাখ লাখ মুরগি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফলে অনেক খামারি সর্বস্বান্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ২০১২ সালের পর থেকে আবার ক্ষুদ্র, মাঝারি খামারিরা এক বুক আশা নিয়ে নতুন উদ্যোগে গড়ে তোলে মুরগির খামার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও দেখা দেয় নতুন সংকট। তা হলো একদিনের লেয়ার ব্রয়লার বাচ্চার মূল্য ১৪০ টাকা যা কল্পনাতীত। খামারিরা জানায় একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ ৩০ টাকা হলেও বাড়তি ১১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করায় খামারিরা বেকায়দায় পড়ে বাধ্য হয়ে খামার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেয়ার ও ব্রয়লারের বাচ্চা কেনেন। যা পরবর্তীতে খামারিদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া ফিডের মূল্য বৃদ্ধি, ডিমের দাম নিম্নমুখীসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে একের পর বন্ধ হতে থাকে মুরগির খামার। খামারি মাহামুদুল হাসান বলেন, সরকারের পোলট্রি শিল্পের নীতিমালা থাকলেও প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন মনিটরিং না থাকায় এ শিল্প ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এক সময় সমস্যার মুখে পড়বে আমাদের বাংলাদেশ। রংপুর পোলট্রি ফিড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পটু বলেন, এ শিল্প ধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে কতিপয় কোম্পানি হ্যাচারির মাধ্যমে একদিনের বাচ্চা উৎপাদন করে অতিরিক্ত দামে খামারিদের কাছে বিক্রিসহ রেডি ব্রয়লার ও ডিম বাজারে সরবরাহ ও বাজারজাত করার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অপরদিকে ওই কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফা লাভ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ মনিটরিং সেল তৈরির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাচ্চা, ফিড, রেডি ব্রয়লার ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে খামারিদেরকে বাঁচাতে হবে। সেইসাথে এ শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। রংপুর পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, সরকার বাজেটে এ শিল্পের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট চাপিয়ে দিয়েছে যা যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হলে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানসহ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে পোলট্রি শিল্পের বিকল্প আর কিছু নাই। তিনি বলেন লেয়ার ও ব্রয়লার একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম সরকারিভাবে নির্ধারণ না থাকার কারণে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারি খামারগুলোতে হ্যাচারির মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদনের পরিকল্পনাসহ মুরগির ফিড ইমপোর্ট ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়িয়ে এ শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মুরগির খামার

আপডেট টাইম : ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একদিনের মুরগির বাচ্চা ও ফিড মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ধস নেমেছে পোলট্রি শিল্পে। রংপুরে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এ শিল্প। পোলট্রি শিল্প বাঁচলে, আমিষ ও পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে, বেকার সমস্যার সমাধান হবে। এক কথায় পোলট্রি শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে। গতকাল রংপুরে খামারিরা আক্ষেপের সুরে মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তারা বলেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে পোলট্রি শিল্পের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। সরকার এ শিল্পের দিকে দৃষ্টি না দিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে না। রংপুর পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান লিংকন জানান, ৮০’র দশকে রংপুরে মৃত আবুল ফজল টুনু চৌধুরী প্রথম বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মুরগির খামার। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জাতের মুরগি এনে এ খামার গড়ে তুললে তাকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হয়। এরপর ভিআইপি শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মুরগির খামার। প্রথম দিকে মুরগির মাংস ও ডিম বাজারজাতকরণ কঠিন থাকলেও ধীরে ধীরে সহজ হওয়ায় এ শিল্প প্রসারিত হয়। কৃষি অঞ্চলভিত্তিক এ অঞ্চলে অনেক বেকার শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলে মুরগির খামার। এক পর্যায়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় গড়ে উঠে লেয়ার, ব্রয়লারের ৭ হাজার ২২৮ খামার। প্রতিটি খামারে প্রকারভেদে ৫ জন থেকে ৫০ জন পর্যন্ত কাজ করছে।  এসব খামার হতে উৎপাদিত ডিম ও মুরগির মাংস উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে। পাশাপাশি মুরগির বিষ্ঠার মাধ্যমে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন, খামারিদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে। প্রতি খামারে কাজের সুযোগ হয়েছে হাজারো বেকারের। এর মধ্যে রংপুর জেলায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২ শ’ খামার। লিংকন তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ২০০৭ সালের ১০ই অক্টোবর দৈনিক মানবজমিন-এ রংপুরে সফল খামারি লিংকন শিরোনামে তার সফলতার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, কলেজের শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিএ পাস করে বাবার সংসারে বোঝা না হয়ে ১৮ মুরগি নিয়ে ২০০০ সালে বাহার কাছনা এলাকায় গড়ে তোলেন মুরগির খামার। এরপর কর্মসংস্থান ব্যাংকে দৌড়-ঝাঁপ করে ৪০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে বড় আকারে মুরগির খামার করেন। পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার কারণে স্বল্প সময়ে সে ২ হাজার মুরগির খামার, বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরিসহ লাখ লাখ টাকার মালিক হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ সংবাদ যৌথবাহিনীর নজরে আসে। যৌথবাহিনীর কমান্ডার লে. কর্নেল কায়সার মানবজমিন রিপোর্টারকে নিয়ে আমার এ খামার পরির্দশন করে সন্তোষ প্রকাশসহ ওই রিপোর্টারকে নেগেটিভ রিপোর্টের ভিড়ে চমৎকার পজেটিভ রিপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আমাকে পুরস্কৃত করেন। যা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। সেই সময় পোলট্রি শিল্পের জন্য ছিল স্বর্ণালী যুগ। ২০০৮ সাল থেকে বার্ড ফ্লু নামক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এ শিল্পে ধস নামা শুরু হয়। সেই সময় লাখ লাখ মুরগি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফলে অনেক খামারি সর্বস্বান্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ২০১২ সালের পর থেকে আবার ক্ষুদ্র, মাঝারি খামারিরা এক বুক আশা নিয়ে নতুন উদ্যোগে গড়ে তোলে মুরগির খামার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও দেখা দেয় নতুন সংকট। তা হলো একদিনের লেয়ার ব্রয়লার বাচ্চার মূল্য ১৪০ টাকা যা কল্পনাতীত। খামারিরা জানায় একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ ৩০ টাকা হলেও বাড়তি ১১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করায় খামারিরা বেকায়দায় পড়ে বাধ্য হয়ে খামার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেয়ার ও ব্রয়লারের বাচ্চা কেনেন। যা পরবর্তীতে খামারিদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া ফিডের মূল্য বৃদ্ধি, ডিমের দাম নিম্নমুখীসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে একের পর বন্ধ হতে থাকে মুরগির খামার। খামারি মাহামুদুল হাসান বলেন, সরকারের পোলট্রি শিল্পের নীতিমালা থাকলেও প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন মনিটরিং না থাকায় এ শিল্প ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এক সময় সমস্যার মুখে পড়বে আমাদের বাংলাদেশ। রংপুর পোলট্রি ফিড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম পটু বলেন, এ শিল্প ধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে কতিপয় কোম্পানি হ্যাচারির মাধ্যমে একদিনের বাচ্চা উৎপাদন করে অতিরিক্ত দামে খামারিদের কাছে বিক্রিসহ রেডি ব্রয়লার ও ডিম বাজারে সরবরাহ ও বাজারজাত করার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অপরদিকে ওই কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফা লাভ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ মনিটরিং সেল তৈরির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাচ্চা, ফিড, রেডি ব্রয়লার ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে খামারিদেরকে বাঁচাতে হবে। সেইসাথে এ শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। রংপুর পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, সরকার বাজেটে এ শিল্পের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট চাপিয়ে দিয়েছে যা যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হলে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানসহ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আমিষের চাহিদা মেটাতে পোলট্রি শিল্পের বিকল্প আর কিছু নাই। তিনি বলেন লেয়ার ও ব্রয়লার একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম সরকারিভাবে নির্ধারণ না থাকার কারণে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারি খামারগুলোতে হ্যাচারির মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদনের পরিকল্পনাসহ মুরগির ফিড ইমপোর্ট ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়িয়ে এ শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।