ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশ স্বামী কারাগারে হাইকোর্টে উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত যারা দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে: টুকু আবাসন ব্যবসায় মন্দা দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস ‘আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নদীতে, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ অর্থহীন’ এর সাবেক গিটারিস্ট পিকলু মারা গেছেন নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ‘ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই’

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ইসলামের নাম করে মানুষ হত্যা করছে, তারা দেশে-বিদেশে আমাদের পবিত্র ধর্মের বদনাম করছে। তারা রমজানে তারাবি না পড়ে, ঈদের দিন ঈদের নামাজ না পড়ে মানুষ মারছে। ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসের ঠাঁই হবে না।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে গণভবনে ‍আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করতে চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

জঙ্গি দমনে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমি চাই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ফলেই এসব কাজ সম্ভব হচ্ছে। দেশবাসীও সমর্থন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এটা কারও সহ্য হয় না। এটা বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড।

জঙ্গি হামলায় উচ্চশিক্ষিতদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা উচ্চশিক্ষিত, ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করছে, সেই ছেলে-মেয়েরা কীভাবে ধর্মান্ধ হয়ে যাচ্ছে, নিখোঁজ হয়ে যায় পরিবার থেকে? অথচ প্রশ্ন আসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কোথায় নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। আমরা উৎস খুঁজে বের করবো।

প্রধানমন্ত্রী তাগিদ দেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ সবাই যেন নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করেন। এ বিষয়ে বিশেষ করে মা-বাবা যেন সজাগ থাকেন।

তিনি বলেন, তাদের ছেলে মেয়েরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে তার খোঁজখবর নেবেন। তাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরাও খোঁজ-খবর রাখবেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের মতবিনিময় করবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না

আপডেট টাইম : ০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ইসলামের নাম করে মানুষ হত্যা করছে, তারা দেশে-বিদেশে আমাদের পবিত্র ধর্মের বদনাম করছে। তারা রমজানে তারাবি না পড়ে, ঈদের দিন ঈদের নামাজ না পড়ে মানুষ মারছে। ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসের ঠাঁই হবে না।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে গণভবনে ‍আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করতে চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

জঙ্গি দমনে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমি চাই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ফলেই এসব কাজ সম্ভব হচ্ছে। দেশবাসীও সমর্থন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এটা কারও সহ্য হয় না। এটা বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড।

জঙ্গি হামলায় উচ্চশিক্ষিতদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা উচ্চশিক্ষিত, ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করছে, সেই ছেলে-মেয়েরা কীভাবে ধর্মান্ধ হয়ে যাচ্ছে, নিখোঁজ হয়ে যায় পরিবার থেকে? অথচ প্রশ্ন আসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কোথায় নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। আমরা উৎস খুঁজে বের করবো।

প্রধানমন্ত্রী তাগিদ দেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ সবাই যেন নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করেন। এ বিষয়ে বিশেষ করে মা-বাবা যেন সজাগ থাকেন।

তিনি বলেন, তাদের ছেলে মেয়েরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে তার খোঁজখবর নেবেন। তাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরাও খোঁজ-খবর রাখবেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের মতবিনিময় করবেন।