প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে নিম্নবিত্ত ও মাদ্রাসাছাত্রদের জড়িত থাকার কথা শোনা যেত। এখন শোনা যাচ্ছে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণরা জঙ্গিবাদে জড়িত।
তিনি বলেন, যাদের জীবনে কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, সেই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা এখন বেহেশতের হুর-পরিী পাওয়ার আশায় ব্যস্ত।
তারা কেন বেহেশত পাওয়ার জন্য জঙ্গি তৎপরতায় জড়াচ্ছে তা খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোববার বিকেল চারটায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাতোরে অনুষ্ঠিত দুদিনের এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলনে (আসেম) প্রধানমন্ত্রীর যোগদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আসেম সম্মেলনে
তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আসেম সম্মেলনে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলন চলাকালে তুরস্কে সেনা-অভুত্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় অসাংবিধানিক শাসনক্ষমতার বিপক্ষে। তুরস্কের জনগণ অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা রুখে দিয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে জনগণই ক্ষমতার মালিক।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা কিংবা কোনো ঘটনায় এ দেশের মিডিয়া যেভাবে প্রচার করে সেভাবে বিশ্বের আর কোথাও ঘটে না। এ দেশের মিডিয়ার কারণেই বিশ্ব মিডিয়ায় এসব ঘটনা প্রচারের সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, এর পেছনে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরোধিতাকারীরা রয়েছে, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সম্মানজনক অবস্থানে চলে গেছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এটা একটি পক্ষ ভালো চোখে দেখে না। কোনো ঘটনা ঘটলে তারা আনন্দ পায়।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর নাম আসায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদে জড়িত না। কয়েকজনের জন্য অন্যদের জীবনে তার প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করছেন।