সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত সুইস ব্যাংকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অ্যাকাউন্ট আছে বলে উল্লেখ করলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।
২০১১ সালের নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমানকে ঠেকাতে মিডিয়াকে ৫ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছিল এমন কথা বলেছিলেন শামীম ওসমান। এরই কড়া জবাব দিলেন আইভী।
শামীম ওসমানকে উদ্দেশ করে আইভী বলেন, যিনি ওই ৫ মিলিয়ন ডলারের কথা বলেছেন, তা তার কাছেই আছে। সুইস ব্যাংকে তারই অ্যাকাউন্ট আছে। আমার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। সময় হলে নারায়ণগঞ্জবাসীই তার কাছ থেকে মিলিয়ন ডলার নিয়ে নেবে।
বুধবার নাসিকের ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জন্য ৬শ’ ১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা শেষে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র আইভী।
নাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও কাউন্সিলর ওবায়দুল্লাহ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুর রহমান হাবিব, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহর আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, যুবলীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুল কাদীর, নারায়গঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বিএমএ’র সভাপতি শাহনেওয়াজ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম জহিরসহ নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগরবাসী।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় শামীম ওসমান ২০১১ সালের নাসিক নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ভোটের আগের রাত সাড়ে ১২টায় খালেদা জিয়ার কাছে একটা টিম গেল। সঙ্গে ছিল যায়যায়দিনের শফিক রেহমান। আইভী ছিল, খালেদা জিয়া ছিল। আইভীকে বলা হলো, জয়েন করো আজকে। কিন্তু সে রাজি হলো না। বললো জয়েন করলে পাস করতে পারবে না।
পারপাস সার্ভ করবো। খালেদা জিয়াও রাজি হয়ে বললো তৈমূরকে বসিয়ে দাও। কারণ শামীম ওসমান সাংগঠনিক লোক। ও পাস করলে আমাদের আর নামতে দেবে না। তার জন্য মধ্যরাতে নির্বাচনের আগে তৈমূর আলম খন্দকারকে বসিয়ে দেয়া হয়।
আমার প্রতি নির্দেশ ছিল তৈমূর বসে গেলে আইভীকে ছেড়ে দিতে। একটা ষড়যন্ত্র করে শুধুমাত্র শামীম ওসমানকে ঠেকাতে এ কাজ করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে নির্বাচন হয়, কিন্তু কোথাও এত সাদা চামড়া আসে না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এত আসে কোথা থেকে। কারণ একটাই শুধুমাত্র শামীম ওসমানকে ঠেকাতে নির্বাচনের আগে ৫ মিলিয়ন ডলার মিডিয়াকে দেয়া হয়েছে।