ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা বিল উত্থাপিত সংসদে

সামরিক সরকারের আমলে জারি করা দুটি অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ‘চা বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চায়ের উত্পাদন বৃদ্ধি করা জরুরি। চা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম চায়ের মানোন্নয়ন ও উত্পাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।’
বাংলাদেশে চা আবাদের জন্য ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। চা বাগানের বেশিরভাগ বেসরকারি মালিকানার। বিলে আইন ভঙ্গে শাস্তির বিধান ন্যূনতম ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। জরিমানার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধগুলো যেক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন এর তফসিলভুক্ত করে বিচার করা যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চা বিল উত্থাপিত সংসদে

আপডেট টাইম : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬
সামরিক সরকারের আমলে জারি করা দুটি অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ‘চা বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চায়ের উত্পাদন বৃদ্ধি করা জরুরি। চা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম চায়ের মানোন্নয়ন ও উত্পাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।’
বাংলাদেশে চা আবাদের জন্য ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। চা বাগানের বেশিরভাগ বেসরকারি মালিকানার। বিলে আইন ভঙ্গে শাস্তির বিধান ন্যূনতম ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। জরিমানার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধগুলো যেক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন এর তফসিলভুক্ত করে বিচার করা যাবে।