প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৭ সালে তাকে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি সেখানে বসেও ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে কখন কি করা যেতে পারে, কিভাবে দেশকে একটি কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে ভেবেছেন। ছোট ছোট কাগজে তার ভাবনাগুলো লিখে রেখেছেন। আর পরবর্তীতে সেগুলোর ভিত্তিতেই তৈরি হয় রূপকল্প ২০২১।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করার নীতিমালা নিয়েই আমরা সরকার গঠন করি। আমাদের লক্ষ্য একটাই গণতান্ত্রিক সুশাসনের মাধ্যমে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান ১৯৯৬ সালে তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনও সরকারের উদ্যোগগুলো ছিলো দেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে।
এরও আগেও যখন দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিলো তখনও রাজনৈতিক দল হিসেবে লক্ষ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং দেশের মানুষের উন্নয়ন, বলে প্রধানমন্ত্রী।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে তার বাস্তবায়ন করা হলে তা খুব একটা কঠিন কাজ হয়না বলেই মত দেন শেখ হাসিনা।
সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গেলেই যেনো বিপদ বেশি, এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেজন্যই প্রাণ দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এমন হত্যা ক্যু’র রাজনীতি আমরা দেশে আরও দেখেছি।
২০০৯ সালে নতুন করে সরকার গঠন করার পর তার সরকারের একটাই লক্ষ্য, কিভাবে সকল কার্যক্রম গতিশীল করে তোলা যায়। আর এ জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে কাজ শুরু হয়, জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পাঁচ বছর ক্ষমতার মেয়াদ, এই সময়ের মধ্যে কতটুকু কাজ করতে পারবো সেটা সুনির্দিষ্ট করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়ানো।