ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পিবিআই প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যু: পর্ব ১ সারা রাত সালমানের বাসায় ছিলেন শাবনূর অস্তিত্ব সংকটে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যম কমিশন গঠনের ঘোষণা বিভক্তি নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বিএনপি: তারেক রহমান উত্তরায় সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কোটি টাকা ও দুটি দামি গাড়ি জব্দ বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মানবাধিকার পরিপন্থী: জামায়াত সাকিবের ইনজুরি বিতর্ক, আসল রহস্য প্রকাশ করল বিসিবি যমুনায় ধরা পড়লো ৩৯ কেজির বাঘাইড় শুটিংয়ের অজানা গল্প বললেন শাকিব-চঞ্চল-নাবিলা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুড়িবোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রশাসনের উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছে না পাহাড়ের বাসিন্দারা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে হতাহতের আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঝূুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের নেয়া উদ্যোগে সারা দিচ্ছে না পাহাড়ের বাসিন্দারা।

কিছুতেই সরতে রাজি হচ্ছে না এসব লোকজন। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মাইকিং, আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া, পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার এবং দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে প্রশাসনের অনুনয়-বিনয় কিছুতেই গলছে না পাহাড়ে বসবাসরতদের মন।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান বলেন, পৌরসভার বিডিআর ক্যাম্প, সিটিকলেজ, সমিতিবাজার, বাদশাঘোনা, বৈদ্যঘোনা, ঘোনার পাড়া, পাহাড়তলী, রুমালিয়ারছড়া, কলাতলী, বইল্ল্যাপাড়া সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তাদের অন্তত রাতের জন্য সরে আসতে অনুরোধ করা হয়। আশ্রয়গ্রহিতাদের জন্য খাবার, পানি ও তাদের বাড়ি পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেউ আসতে চায় না।

মেয়র আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পৌরকর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে। কিন্তু এসব লোকজন কোনভাবে সরছে না।

শহরের বৈদ্যঘোনার জিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, রোজার মাস। রাতে সেহেরি খেতে হবে। বাড়িতে ঈদের কেনাকাটা করা হয়েছে। মালপত্র রয়েছে। এতকিছু ফেলে রাতের বেলা কোথায় যাব।

ঘোনার পাড়ার হাফেজ মনির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু মাইকিং করলেও বউ-বাচ্চা আর ঘরের জিনিস-পত্র নিয়ে কোথায় যাব। সরকার যদি আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে যেতে পারতাম।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা রাত সাড়ে ১১টা থেকে তাদের অনুরোধ করছি নিরাপদ স্থানে আসতে। কিন্তু তারা শুনছে না। সকালে তাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন কঠোরতা অবলম্বন করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পিবিআই প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যু: পর্ব ১ সারা রাত সালমানের বাসায় ছিলেন শাবনূর

প্রশাসনের উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছে না পাহাড়ের বাসিন্দারা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে হতাহতের আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঝূুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের নেয়া উদ্যোগে সারা দিচ্ছে না পাহাড়ের বাসিন্দারা।

কিছুতেই সরতে রাজি হচ্ছে না এসব লোকজন। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মাইকিং, আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া, পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার এবং দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে প্রশাসনের অনুনয়-বিনয় কিছুতেই গলছে না পাহাড়ে বসবাসরতদের মন।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান বলেন, পৌরসভার বিডিআর ক্যাম্প, সিটিকলেজ, সমিতিবাজার, বাদশাঘোনা, বৈদ্যঘোনা, ঘোনার পাড়া, পাহাড়তলী, রুমালিয়ারছড়া, কলাতলী, বইল্ল্যাপাড়া সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তাদের অন্তত রাতের জন্য সরে আসতে অনুরোধ করা হয়। আশ্রয়গ্রহিতাদের জন্য খাবার, পানি ও তাদের বাড়ি পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেউ আসতে চায় না।

মেয়র আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পৌরকর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে। কিন্তু এসব লোকজন কোনভাবে সরছে না।

শহরের বৈদ্যঘোনার জিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, রোজার মাস। রাতে সেহেরি খেতে হবে। বাড়িতে ঈদের কেনাকাটা করা হয়েছে। মালপত্র রয়েছে। এতকিছু ফেলে রাতের বেলা কোথায় যাব।

ঘোনার পাড়ার হাফেজ মনির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু মাইকিং করলেও বউ-বাচ্চা আর ঘরের জিনিস-পত্র নিয়ে কোথায় যাব। সরকার যদি আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে যেতে পারতাম।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা রাত সাড়ে ১১টা থেকে তাদের অনুরোধ করছি নিরাপদ স্থানে আসতে। কিন্তু তারা শুনছে না। সকালে তাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন কঠোরতা অবলম্বন করবে।