একইভাবে বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ প্রতিস্থাপন করে এয়ার ফোর্স (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট- ২০১৬ পাস করেছে সংসদ।
এছাড়া ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৬ বিলও পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার এ সব বিল পাস হয়।
এর আগে সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলগুলো পাস করার প্রস্তাব করেন।
বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিল তিনটি চলতি সংসদের অষ্টম অধিবেশনে গত ১৬ নভেম্বর উত্থাপিত হয়।
পাসকৃত বিলের তুলনামূলক বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২ এবং এয়ারফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫৩ সংশোধন কল্পে পাসকৃত বিল দুটিতে সংশোধনী আনা হয়। ১৯৫২ সালের অ্যাক্টে সেনাবাহিনীর প্রধানের পদবী ছিল ‘কমান্ডার ইন চিফ’। একইভাবে ১৯৫৩ সালের এয়ারফোর্স অ্যাক্ট-এ বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’।
সামরিক শাসনামলে ১৯৭৬ সালে জারিকরা আর্মি এ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স দ্বারা সেনাবাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’ করা হয়।
একইভাবে ১৯৭৬ সালে জারি করা এয়ারফোর্স এ্যাক্ট-এ বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ করা হয়।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় দ্বারা সামরিক শাসনামলে প্রবর্তিত সকল অধ্যাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের কারণেও অধ্যাদেশগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে সেনাবাহিনীতে ও বিমান বাহিনীতে চিফ অব আর্মি স্টাফ-এর স্থলে ‘কমান্ডার ইন চিফ’ প্রতিস্থাপিত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এটা কাম্য নয়।
এ অবস্থার সমাধান কল্পে ২০১৩ সালের ৬ ও ৭ নং আইন দ্বারা বেআইনি ঘোষিত এবং অকার্যকর সকল আইনকে সাময়িক বৈধতা দেয়া হয়। সরকারের নির্দেশনায় সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় আইনগুলো প্রণয়ন করে আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য বিলটি সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এ কারণে বিদ্যমান বিধানের সঙ্গে নতুন বিধানের কোনো পার্থক্য নাই।
পাসকৃত বিলের রহিতকরণ ও হেফাজত ধারা বলে ১৯৭৬ সালের আর্মি এ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিন্যান্স রহিত করা হয়। তবে উক্ত অধ্যাদেশের অধীনে করা সকল কাজকর্ম ও গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীনে কৃত বা গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে বলে আইনের সংরক্ষণ দেয়া হয়।