ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ এক পদে দুইবারের বেশি কেউ নয়: আসিফ কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা, দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সংঘাতের সুযোগ বাংলাদেশে নেই: খেলাফত মজলিস হিজবুল্লাহ প্রধানকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান যে সরকার কোরআনকে জঙ্গি কিতাব বলে, সে সরকার মুসলমানদের নয়: মুজিবুর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ ড. ইউনূস ‘তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে’

পরিবেশ দূষণে বছরে ক্ষতি ৫২ হাজার কোটি টাকা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকাসহ অন্য শহরগুলো মারাত্মক পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর পরিবেশ দূষণে ৫২ হাজার কোটি টাকার (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়, যা ২০১৫ সালের জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশের সমান।

রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পরিবেশগত সমীক্ষা-২০১৮’র প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর শহরাঞ্চলের পরিবেশ দূষণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। এটি দেশের মোট জিডিপির অর্ধেক, অর্থাৎ ৩.৪ শতাংশ। এটি বিরাট উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ২০১৫ সালেই পরিবেশ দূষণের কারণে মারা গেছেন ৮০ হাজার মানুষ। দেশব্যাপী যে রোগব্যাধি হচ্ছে তার ২৮ শতাংশ রোগের কারণ পরিবেশ দূষণ। যেখানে বিশ্বব্যাপী এর গড় হার ১৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার বাংলাদেশের দূষণ নিয়ে ‘ইনহ্যান্সিং অপরচুনিটিজ ফর ক্লিন অ্যান্ড রেসিডেন্ট গ্রোথ ইন আরবান বাংলাদেশ, কান্ট্রি এনভারমেন্ট এনালাইসিস ২০১৮’ শিরোনামে করা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়, ঢাকা সিটিতে সুউচ্চ ভবন ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি হারিয়ে গেছে। পাবনার মতো ছোট শহরেও ৫০ শতাংশের মতো জমি হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর মোট জিডিপি এক শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। নন-কমপ্লায়েন্স শিল্প ও অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে নগরের বাতাস এবং ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি দূষণ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক টন সুতায় রঙ ফিনিশিং করতে ২০০ মেট্রিক টন দূষিত পানি নদী বা খালে গিয়ে পড়ে। যা রাজধানীর আশেপাশের এলাকার দরিদ্র মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে পরিবেশ দূষণ বিশেষ করে নগরাঞ্চলের এ দূষণ অবশ্যই কার্যকর ও টেকসইভাবে বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী মো. আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

পরিবেশ দূষণে বছরে ক্ষতি ৫২ হাজার কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ১২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকাসহ অন্য শহরগুলো মারাত্মক পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর পরিবেশ দূষণে ৫২ হাজার কোটি টাকার (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়, যা ২০১৫ সালের জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশের সমান।

রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পরিবেশগত সমীক্ষা-২০১৮’র প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর শহরাঞ্চলের পরিবেশ দূষণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। এটি দেশের মোট জিডিপির অর্ধেক, অর্থাৎ ৩.৪ শতাংশ। এটি বিরাট উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ২০১৫ সালেই পরিবেশ দূষণের কারণে মারা গেছেন ৮০ হাজার মানুষ। দেশব্যাপী যে রোগব্যাধি হচ্ছে তার ২৮ শতাংশ রোগের কারণ পরিবেশ দূষণ। যেখানে বিশ্বব্যাপী এর গড় হার ১৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার বাংলাদেশের দূষণ নিয়ে ‘ইনহ্যান্সিং অপরচুনিটিজ ফর ক্লিন অ্যান্ড রেসিডেন্ট গ্রোথ ইন আরবান বাংলাদেশ, কান্ট্রি এনভারমেন্ট এনালাইসিস ২০১৮’ শিরোনামে করা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়, ঢাকা সিটিতে সুউচ্চ ভবন ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি হারিয়ে গেছে। পাবনার মতো ছোট শহরেও ৫০ শতাংশের মতো জমি হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর মোট জিডিপি এক শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে। নন-কমপ্লায়েন্স শিল্প ও অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে নগরের বাতাস এবং ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি দূষণ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক টন সুতায় রঙ ফিনিশিং করতে ২০০ মেট্রিক টন দূষিত পানি নদী বা খালে গিয়ে পড়ে। যা রাজধানীর আশেপাশের এলাকার দরিদ্র মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে পরিবেশ দূষণ বিশেষ করে নগরাঞ্চলের এ দূষণ অবশ্যই কার্যকর ও টেকসইভাবে বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী মো. আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পার্লকার।