ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারকে চাপ দিতে বাংলাদেশের উদ্যোগ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ। এছাড়া সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু ইভেন্টে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব এম. শহিদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আমাদের উত্তেজিত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। তারা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, ল্যান্ড মাইন বসিয়েছে। কিন্তু আমরা ঠান্ডা মাথায় এর শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এবারের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের উদ্যোগ ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরবো।

রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার ব্যাপারে মিয়ারমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে বলেও তিনি বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর রাখাইনের মংডু, বুথিডংসহ বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি নিজে দেখেছি, সেখানে বাড়ির গাছপালা পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মিয়ানমারের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে নিউ ইয়র্কে।

সেখানে মিয়ানমারের মন্ত্রীও হয়তো বা থাকবেন।’ উল্লেখ্য, গত জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী যখন চীন সফর করেছিলেন তখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি ও মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী টিন্ট সোয়ের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিলো। এ বিষয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমি যখন গত জুনে চীনে গিয়েছিলাম তখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি আমাকে বলেছিলেন, ‘আপনি মিয়ানমারের গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসে আমাকে জানাবেন।’ দেখা যাক, আলোচনা হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়াও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গত বছর তার প্রস্তাবিত পাঁচ দফার ধারাবাহিকতায় পুনরায় কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরবেন। তিনি জানান, এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে দুটি পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। ইন্টারপ্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রীকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। এছাড়াও গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারকে চাপ দিতে বাংলাদেশের উদ্যোগ

আপডেট টাইম : ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ। এছাড়া সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু ইভেন্টে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব এম. শহিদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আমাদের উত্তেজিত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। তারা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, ল্যান্ড মাইন বসিয়েছে। কিন্তু আমরা ঠান্ডা মাথায় এর শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, এবারের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের উদ্যোগ ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরবো।

রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার ব্যাপারে মিয়ারমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে বলেও তিনি বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর রাখাইনের মংডু, বুথিডংসহ বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি নিজে দেখেছি, সেখানে বাড়ির গাছপালা পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মিয়ানমারের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে নিউ ইয়র্কে।

সেখানে মিয়ানমারের মন্ত্রীও হয়তো বা থাকবেন।’ উল্লেখ্য, গত জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী যখন চীন সফর করেছিলেন তখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি ও মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী টিন্ট সোয়ের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিলো। এ বিষয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমি যখন গত জুনে চীনে গিয়েছিলাম তখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি আমাকে বলেছিলেন, ‘আপনি মিয়ানমারের গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসে আমাকে জানাবেন।’ দেখা যাক, আলোচনা হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের বেশকিছু বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়াও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গত বছর তার প্রস্তাবিত পাঁচ দফার ধারাবাহিকতায় পুনরায় কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরবেন। তিনি জানান, এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে দুটি পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। ইন্টারপ্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রীকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। এছাড়াও গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন।