বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজধানীর সড়কগুলোতে চলাচল করে গণপরিবহন। এ পরিবহনে আসন থাকে ৪৫টির মত। তাছাড়াও ৮-১০ জনকেও দাড়া করিয়ে নিচ্ছে তারা। সে হিসাবে পরিবহনের একটি বাসে ৫০-৫৫ জন ভ্রমণ করতে পারে খুব সহজেই। আর অন্যদিকে হিসেব কষে দেখা যায় রাজধানীর ৪০ শতাংশ সড়ক দখলে ৪ লাখ প্রাইভেটকার।
প্রাইভেটকারে গড়ে সাধারণত ২-৪ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। এরকমের দু’টি প্রাইভেটকারে থাকে হয়তো গড়ে ৭-৯ জন যাত্রী। আর একটি বাস সড়কে চলে দু’টি প্রাইভেটকারের জায়গা নিয়ে।
তো হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, দু’টি প্রাইভেটকার যেটুকু জায়গা নিয়ে গড়ে ৭-৮ জন যাত্রী পরিবহন করছে, ঠিক ততখানি জায়গা নিয়ে ৫০-৫৫ জন যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে একটি বাস।
পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) একটি সূত্রে। সূত্রটির মতে, ঢাকা শহরে প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির যে সংখ্যা, সেটা হিসাব কষলে নগরীর সড়কের ৪০ শতাংশ জায়গাই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে। পক্ষান্তরে বাসের যে সংখ্যা, তার হিসাব কষলে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহনকারী এসব বাহন চলে মাত্র ৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে।
ঢাকা আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল এস এম মান্নান মনিরের নিজের গাড়ি কেনার সামর্থ্য থাকলেও গণপরিবহনে চলাচল করেন।
তিনি বলেন, ‘কতোসংখ্যক যাত্রীকে পরিবহনের জন্য কতোটুকু জায়গা কোন বাহনের জন্য থাকলো, এমন ‘দীর্ঘ পরিসরের’ হিসাবটা মেলানো হয় না বলে প্রতিনিয়তই নগরীতে বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি, আর বাড়ছে যানজট।