ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়িয়েছে সরকার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়িয়েছে সরকার। নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন সুবিধার আওতায় ইন্টারনেটসহ মাসিক আবাসিক টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা তুলতে পারবেন প্রাধিকারভুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা। পাশাপাশি মোবাইলফোন ও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ভাতাও নগদে তুলতে পারবেন। এজন্য সম্প্রতি দুটি আদেশ জারি করেছে অর্থবিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮’ জারি করেছে। নীতিমালার প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা কে কত টাকা পর্যন্ত আবাসিক টেলিফোনের বিল পাবেন ওই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, অ্যাটর্নি জেনারেল অব বাংলাদেশ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাংবিধানিক পদগুলোর বিপরীতে আবাসিক টেলিফোনের কোন ব্যয়সীমা নেই। তাই এসব পদবিধারী ব্যক্তিদের কোনো ধরনের নগদায়ন ভাতা দেয়া হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২য় ও তৃতীয় গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তারা আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা তিন হাজার আটশ’ টাকা। এ গ্রেডের কোনো কর্মকর্তা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে দুই হাজার আট শ’ টাকা নিতে হবে।

এ ছাড়া চতুর্থ গ্রেডের প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তা আবাসিক টেলিফোন খাতে দুই হাজার ছয়শ’ ৫০ টাকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ গ্রেডের কোনো কর্মকর্তা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে দুই হাজার টাকা নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিবদের একান্ত সচিবরা আবাসিক টেলিফোন খাতে এক হাজার নয় শ’ ৫০ টাকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। একান্ত সচিবরা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার ছয় শ’ টাকা নিতে পারবেন। ৫ম ও ষষ্ঠ গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা এক হাজার নয় শ’ ৫০ টাকা। এ দুই গ্রেডের কর্মকর্তারা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার ছয় শ’ টাকা নিতে পারবেন।

এ ছাড়া ৭ম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা এক হাজার চার শ’ ২৫ টাকা। এ তিন গ্রেডের কর্মকর্তারা ল্যান্ড টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার দুই শ’ টাকা নিতে পারবেন। ল্যান্ড টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, প্রাধিকারসহ ইন্টারনেট ও মাসিক আবাসিক টেলিফোন ভাতা নগদায়নে ইচ্ছুক কর্মচারীরা তাদের মাসিক বেতন বিলের সঙ্গে উঠাতে পারবেন। এদিকে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা আরেক আদেশে মোবাইলফোন ও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রাপ্য ভাতা বেতন বিলের সঙ্গে পাবেন।

আদেশে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব, জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম সচিব, যুগ্ম প্রধান, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীরা মোবাইল বা সেলুলার ফোনভাতা (ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) বাবদ মাসিক দেড় হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া প্রাধিকারপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মচারীরা মোবাইল বা সেলুলার ফোন ভাতা (ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) মাসিক এক হাজার টাকা করে পাবেন। আদেশের শেষে বলা হয়েছে, এ ভাতা তুলতে চাইলে সংস্থা প্রধানকে উত্তোলনকারী কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর জানাতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়িয়েছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়িয়েছে সরকার। নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন সুবিধার আওতায় ইন্টারনেটসহ মাসিক আবাসিক টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা তুলতে পারবেন প্রাধিকারভুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা। পাশাপাশি মোবাইলফোন ও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ভাতাও নগদে তুলতে পারবেন। এজন্য সম্প্রতি দুটি আদেশ জারি করেছে অর্থবিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮’ জারি করেছে। নীতিমালার প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা কে কত টাকা পর্যন্ত আবাসিক টেলিফোনের বিল পাবেন ওই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, অ্যাটর্নি জেনারেল অব বাংলাদেশ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাংবিধানিক পদগুলোর বিপরীতে আবাসিক টেলিফোনের কোন ব্যয়সীমা নেই। তাই এসব পদবিধারী ব্যক্তিদের কোনো ধরনের নগদায়ন ভাতা দেয়া হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২য় ও তৃতীয় গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তারা আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা তিন হাজার আটশ’ টাকা। এ গ্রেডের কোনো কর্মকর্তা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে দুই হাজার আট শ’ টাকা নিতে হবে।

এ ছাড়া চতুর্থ গ্রেডের প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তা আবাসিক টেলিফোন খাতে দুই হাজার ছয়শ’ ৫০ টাকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ গ্রেডের কোনো কর্মকর্তা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে দুই হাজার টাকা নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিবদের একান্ত সচিবরা আবাসিক টেলিফোন খাতে এক হাজার নয় শ’ ৫০ টাকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। একান্ত সচিবরা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার ছয় শ’ টাকা নিতে পারবেন। ৫ম ও ষষ্ঠ গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা এক হাজার নয় শ’ ৫০ টাকা। এ দুই গ্রেডের কর্মকর্তারা নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার ছয় শ’ টাকা নিতে পারবেন।

এ ছাড়া ৭ম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোনের মাসিক ব্যয়সীমা এক হাজার চার শ’ ২৫ টাকা। এ তিন গ্রেডের কর্মকর্তারা ল্যান্ড টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা নিতে চাইলে এক হাজার দুই শ’ টাকা নিতে পারবেন। ল্যান্ড টেলিফোনের নগদায়ন ভাতা নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, প্রাধিকারসহ ইন্টারনেট ও মাসিক আবাসিক টেলিফোন ভাতা নগদায়নে ইচ্ছুক কর্মচারীরা তাদের মাসিক বেতন বিলের সঙ্গে উঠাতে পারবেন। এদিকে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা আরেক আদেশে মোবাইলফোন ও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রাপ্য ভাতা বেতন বিলের সঙ্গে পাবেন।

আদেশে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব, জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম সচিব, যুগ্ম প্রধান, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীরা মোবাইল বা সেলুলার ফোনভাতা (ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) বাবদ মাসিক দেড় হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া প্রাধিকারপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মচারীরা মোবাইল বা সেলুলার ফোন ভাতা (ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) মাসিক এক হাজার টাকা করে পাবেন। আদেশের শেষে বলা হয়েছে, এ ভাতা তুলতে চাইলে সংস্থা প্রধানকে উত্তোলনকারী কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর জানাতে হবে।