সারাদেশে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো বন্ধ হয়নি হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী ভর্তি। তবে নতুন রোগী ভর্তি তুলনায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা বেশি। এরপরও অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সেপ্টেম্বর মাস নিয়ে শঙ্কায় আছেন চিকিৎসকরা। কারণ গত কয়েকবছর ধরেই সেপ্টেম্বর মাসেই সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর পিক টাইম। তবে এডিস প্রতিরোধে জোর তৎপরতা ও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসায় এবার সেই শঙ্কা নেই। সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০২ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৪০৫ জন এবং বিভাগে ৪৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, ডেঙ্গুকে মাসের ফ্রেমে বাধা যায় না। সহায়ক পরিবেশ পেলে যে কোনো সময় মাথাচাড়া দিতে পারে এডিস। তাই এডিস প্রতিরোধে বছরজুড়েই সমন্বিত ও পরিকল্পিত উদ্যোগের পরামর্শ তাদের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। কমেছে পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজেটিভের হারও। তাইত বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর পিক আওয়ার হলেও এবার সেই শঙ্কা দেখছেন না চিকিৎসকরা। তবে এখনই শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মদক্ষতা এবং জনগণের সচেতনতা বাড়ায় এবারের সেপ্টেম্বরে আগের মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, এডিস মশার ডিম প্রায় ছয় থেকে নয়মাস সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। তাই পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই কোনো কিছু আন্দাজ করা সম্ভব না।